ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জোট ১৪ দল।
নাসিরনগরের বর্তমান কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা রাখতেও ১৪ দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।খবর বিডিনিউজের।
রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের এই বক্তব্যের পরপরই সরকার নাসিরনগরের ইউএনও চৌধুরী মোয়াজ্জাম আহমদকে প্রত্যাহার করে।
গত ৩০ অক্টোবর ১৫টি মন্দির এবং হিন্দুদের দেড় শতাধিক বাড়ি ভাংচুরের পর নাসিরনগর থানার ওসি আব্দুল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভায় সহকর্মী ছায়েদুল হকের নির্বাচনী এলাকার ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের সমন্বয়ক হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনে যারা ব্যর্থ হয়েছে, তাদেরকে ওখান থেকে ‘উইথড্র’ করতে হবে। নাসিরনগরের প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনায় নাসিরনগরের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত বলে দাবি করছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সভাপত্ণ্ডিলীর সদস্য নাসিম মনে করেন, হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার পেছনে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ রয়েছে।
“শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দারিদ্র বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাঁড়াচ্ছে, জঙ্গি নির্মূলে সফলতা পাচ্ছে, দুর্গাপূজায় কোনো সমস্যা হয়নি, এমন সময় হঠাৎ করে এই ঘটনার পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে।”
সোমবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৪ দল নাসিরনগর পরিদর্শনে যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ওই কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ১৪ দলের নেতারা। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদের আরেক অংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আওয়ালও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।
ক্ষমমতাসীনরা বিএনপিকে ‘ভয়’ পায় বলে সমাবেশ করতে দিচ্ছে না বলে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাসিম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ভয় পাওয়ার দল নয়।
“আপনাদেরকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভয়কে জয় করে আমরা আপনাদের পতন ঘটিয়েছিলাম। ভয় পেলে আপনারাই ভয় পাবেন।”