এ.এম হোবাইব সজীব,চকরিয়া:
চকরিয়ায় আরকান মহাসড়ক এখন অলিখিতভাবে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। উপজেলার খুটাখালী-ফুলছড়ি থেকে উত্তরে হারবাং ফরেষ্ট অফিসের অদুরে এলাকা পর্যন্ত সড়কজুড়ে প্রায় ২০টি পয়েন্টে চলছে সড়ক দখল করে বালু ব্যবসা।
অভিযোগ উঠেছে, সড়ক দখল করে বালু ব্যবসা করার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় একাধিক দুর্ঘটনা। জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবক মহল জানিয়েছেন, প্রশাসনের রহস্যজনক নিরতার কারনে সড়কের ওপর বালু মজুদ ও ব্যবসার পরিধি বেড়ে চলছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
এ অবস্থার কারণে বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে। হতাহতের ঘটনাও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জানা গেছে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম আরকান মহাসড়ক লাগোয়া উপজেলার হারবাং ফরেষ্ট অফিস থেকে দক্ষিণে খুটাখালী-ফুলছড়ি পর্যন্ত এলাকায় জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রনাধীন ১৩টি বালু মহাল রয়েছে। এসব বালু মহাল ইজারা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসলেও বালু মজুদের ক্ষেত্রে তারা প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে চলছেন।
উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বালু উত্তোলনের পর নির্ধারিত মোকাম (স্পট) থেকে বালু বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে ইজারা শর্তাবলীতে। কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ীরা এসবের তোয়াক্কা না করেই আরকান মহাসড়ক দখল করে এখানে গড়ে তুলেছে নিজস্ব মোকাম। পরে এসব মোকাম থেকে তারা নিবিগ্নে সরবরাহ দিচ্ছে উত্তোলনকৃত বালু।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশেষ করে উপজেলার মালুমঘাট পুলিশ ফাড়ির সামনে থেকে শুরু করে সাফারী পার্ক, গ্রামীণ ব্যাংক, ডুলাহাজারা কলেজ গেইট, ডুলাহাজারা কবর স্থান, পাগলিরবিল সেতু, কচ্ছপিয়ার ঢালা, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রামীণ ব্যাংক পয়েন্ট, খুটাখালী বাজার লাগোয়া সেতু, ও ফুলছড়ি সেতু পযর্ন্ত সড়কের দুই পাশে উত্তোলনকৃত বালু মজুদ করে অবৈধ মোকাম (স্পট) গড়ে তুলেছে। পরে এসব মোকাম থেকে ব্যবসায়ীরা ট্টাক যোগে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ দিচ্ছে উত্তোলনকৃত বালু।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পুলিশকে ম্যানেজ করে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে এসব মোকাম থেকে বালু ব্যবসা করে আসছেন নিবিগ্নে। ফলে সড়ক দখল অব্যাহত থাকলেও পুলিশ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। স্থানীয়দের দাবি এ অবস্থার কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনায় হতাহতের শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা।
চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.মাহাবুব-উল করিম আমাদের রামু কে বলেন, মহাসড়কের জায়গা দখল করে বালু ব্যবসা করার ঘটনাটি অবশ্যই আইনের পরিপন্থি। ইতোমধ্যে সড়ক থেকে অবৈধ বালু ব্যবসা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি। তাই সহসা মহাসড়কের এসব পয়েন্টে আদালত অভিযানে নামবে।