আব্দুল হামিদ:
রামু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গর্জনিয়া বড়বিল। শিক্ষা-দীক্ষা, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদের শিশু কিশোরেরা। রয়েছে অনেক অভাব অনটন। প্রতিবছর ঝড়ে যাচ্ছে এবং লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক শিশুরা। এই জনপদে জ্ঞানের আলো ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন আল নজির নূরানী একাডেমী। এই প্রতিবেদক সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
গর্জনিয়া বড়বিলে অবস্থিত আল নজির নূরানী একাডেমী বিগত ২০১৫ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান সহ নানা বিষয়ে পাঠ্য কার্য্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে একাধিক ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানতে পারে, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদান, বিনা বেতনে পড়ালেখা, অসহায়দের জন্য পোষাকের ব্যবস্থা করায় শিশুদের পড়ালেখার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তাছাড়া এতিম অসহায়দের জন্য রয়েছে চিকিৎসা ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা।
আল নজির ফাউন্ডেশন পরিচালিত নূরানী একাডেমী ছাড়াও রয়েছে এতিমখানা, হেফজ খানা, কিন্ডার গার্ডেন একাডেমী। ৪শত জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ খেটে খাওয়া গরীব মানুষের সন্তান।
বর্তমানে ১০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন একাডেমীর পরিচালক ও আল নজির ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের জন্য ২০০৮ ইং সালে তার পিতা অলিয়ে কামেল শাহ্ সুফি মরহুম আলহাজ্ব নজির আহমদের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে আর্ত্ব মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে এ ফাউন্ডেশন মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
আগামীতেও এ ফাউন্ডেশন অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করার জন্য সকলের নিকট সহযোগিতা চান তিনি। নূরানী একাডেমীর শিক্ষক মওলানা আব্বাস আমাদের রামু কে বলেন, সামান্য বেতন হলেও অসহায়দের পাশে থাকতে পেরে তিনিও আনন্দিত।