নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৯ নভেম্বর শনিবার কক্সবাজার জেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়। মতবিনিময় সভাস্থল থেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এজন্য টানা এক ঘন্টার এক ‘ভিডিও কনফারেন্স আসরে’ বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের বাড়ী-ঘরে হামলা সহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী স্ব-শরীরে মানুষের সঙ্গে আলাপ করতেন। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রযুক্তির বদৌলতে দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এখন ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যোগাযোগ করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
এক ঘণ্টা ব্যাপী চলবে এই মতবিনিময়। ইতোমধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভার স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার শহরের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামকে বেছে নেয়া হয়েছে মতবিনিময় সভার স্থান হিসেবে। ষ্টেডিয়ামের প্রাথমিক কাজও শুরু করা হবে আজ থেকে। বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনে যাতে স্টেডিয়ামের কোন ক্ষতি না হয়- সেভাবেই মাঠে মঞ্চ এবং বসার স্থান তৈরি করা হবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভা স্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি আবদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী জহিরুল ইসলাম খন্দকার, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন-‘১৯ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভায় প্রায় তিন হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলবেন না তিনি। সভাস্থল থেকে যার দিকে ইঙ্গিত দেবেন তিনিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়েই এটি করা হবে।’
জেলা প্রশাসক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের বিভিন্ন পেশার তৃণমূলের লোকজনের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান।