নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নে মগনামায় শিল্প গ্রুপ এস আলম গ্র“পের ক্রয়কৃত জমির দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতির ঘটনার উন্নতি হয়েছে। শান্ত হয়ে এসেছে ওই এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি। মাঠে ফিরতে শুরু করেছে প্রান্তিক লবণ চাষীরা।
জানা গেছে, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এস আলম গ্র“প বিগত কয়েক বছর পুর্বে মগনামার দক্ষিণ অংশে প্রায় তিনশত একর জমি ক্রয় করেন। আর এসব জমি এস আলম গ্র“প থেকে ইজারা নিয়ে দেখভাল করে আসছেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি। যথারীতি চলতি মৌসুমের জন্য এসব জমি তারা বর্গা চাষীদের নিকট বর্গাও দেন।
কিন্তু এদিকে এসব জমি মধ্যে প্রায় ৩২ একর জমি দখল নিতে সক্রিয় হয়েছে একটি পক্ষ। আর গত ৫দিন ধরে ওই জমির দখল করতে ওই পক্ষের লোকজনের সাথে চাষী পক্ষে মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘাত ও সংঘর্ষ আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ হওয়ার শংকা তৈরি হয়েছিল এলাকায়। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ঠিক তখনি এস আলম গ্রুপের মালিক পক্ষ, জমি ইজারাদার ও মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওসাসিম এবং পেকুয়া থানা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ করে।
গতকাল এস.আলম গ্র“পের মালিক পক্ষ পেকুয়া থানার ওসি, ইউএনও ও স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রান্তিক চাষীদের সাথে কথা বলেন। সমস্যা সমাধানের জন্য সাধারণ জনগণ ও প্রান্তিক চাষীদের সাথে কথা বলা, দফায় দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করায় বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় মগনামাবাসী। এমনকি হতাহত হওয়ার সম্ভাবনা আর না থাকায় খুশি মনে প্রান্তিক লবণ চাষীরা মাঠে ফিরতে শুরু করেছে।
১৯ নভেম্বর সরজমিনে জানা যায় কালার পাড়া, শুদ্ধখালীপাড়া, বেদেরবিলপাড়া, কাদেরবলির পাড়া, চান্দারপাড়া ও কোদাইল্যাদিয়ার মরিচ্যাদিয়া, সাতঘরপাড়া, বোডিংপাড়া ও আফজলিয়াপাড়ার লবণ চাষীরা লবণ উৎপাদনের প্রাথমিক কাজ পুরোদমে শুরু করেছে।
এ সময় স্থানীয় লবণ চাষীরা জানান, মগনামার চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম তাদের সাথে কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। বেঠক করেছেন পেকুয়া থানার ওসিও। সর্বশেষ তাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন এস.আলম শিল্প গ্রুপের পক্ষে এস.আলম শিল্প গ্রুপের ডিরেক্টর মো.আদিল চৌধুরী। যার কারণে তাদের আর ভয় নাই। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় ইউপি কার্যালয় এর চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
চেয়ারম্যান ওয়াসিম জানান, একটি পক্ষ তুচ্ছ বিষয় ও তাদের স্বার্থ হাছিল করার জন্য লবণ চাষীদের মারধর ও ভয়ভীতিতে রেখেছিল। এখন পুলিশ প্রশাসন, এস.আলম মালিক পক্ষ ও ইউপি কার্যালয়ের বিশেষ উদ্যোগে লবণ চাষীরা এখন মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। আইন শৃংখলাও আল্লাহর রহমতে অনেক অনেক ভাল।
ওসি জিয়া মুহাম্মদ মুস্তাফিজ ভুইয়া জানান, জায়গা এস.আলম গ্র“পের। মালিক পক্ষ জমি গুলো বর্গা চাষের জন্য কয়েকজনকে নিয়োগ দেন। তার মধ্যে থেকে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়। বর্তমানে নিয়মিত পুলিশি টহল রয়েছে। এছাড়াও প্রান্তিক চাষী ও স্থানীয়দের সাথে আমি সরাসরি কথা বলেছি। যার কারণে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং চাষীরা মাঠে ফিরতে শুরু করেছে।