খালেদ হোসেন টাপু/মোঃ নাছির উদ্দিন:
ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের আর্থিক সহোযোগিতায় সেভ দ্যা চিলড্রেন এর কারিগরী সহযোগিতায়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিখন কর্মসূচির অধীনে কক্সবাজার সদর ফিল্ড অফিস কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার তিনটি উপজেলায় (কক্সবাজার সদর, রামু, নাইক্ষ্যংছড়ি) ১৪ টি ইউনিয়নে ১৪ জন লার্নিং ফ্যাসিলেটেটর, ১৫৫টি শিখন স্কুল সফলতার সাথে পরিচালনা করে যাচ্ছে।
এর মধ্যে ১০০ টি পঞ্চম শ্রেণি এবং ৫৫টি ২য় শ্রেণি । রামু উপজেলায় ৫১টি শিখন স্কুলের মোট ১৩৪৬ জন শিক্ষার্থী সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। নাইক্ষ্যংচড়ি উপজেলায় ১১ টি শিখন স্কুলে ২৩০ জন শিক্ষার্থী সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩৮টি শিখন স্কুলে ১০৩৫ জন শিক্ষার্থী সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে । কোডেক শিখন প্রকল্পের কক্সবাজার সদর ফিল্ড অফিসের আওতায় ৩টি উপজেলা মিলে মোট ২৬১১ জন শিক্ষার্থীর এর মধ্যে ১৫৪৫ জন ছাত্রী এবং ১০৬৬ জন ছাত্র ২০১৬ সালের সমাপণী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে । শিখন এর ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মোঃ আজিজুল হক জানান, ১৯ টি কেন্দ্রে সমাপনী পরীক্ষা শিখন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করবে।
রামু উপজেলায় ৬টি কেন্দ্রে মোট ১৩৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে। কেন্দ্রগুলি হল যথাক্রমে ১.ফয়জুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা (গর্জনিয়া বাজার ), ২.গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৩.জুম ছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪.ঈদ গড় এ বিএম উচ্চ বিদ্যালয়, ৫ .নাদেরুজামান উচ্চ বিদ্যালয়, ৬. জোয়ারিয়ানালা এইচ.এম.সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫ টি কেন্দ্রে মোট ২৩০জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে।
কেন্দ্রগুলি হল যথাক্রমে ১. ছালে আহমেদ সঃ উচ্চ বিদ্যালয়, ২. উত্তর চাকঢালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩. বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয়, ৪. ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, ৫. উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৮টি কেন্দ্রে মোট ১০৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করবে।কেন্দ্র গুলো হল যথাক্রমে ১. কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল, ২.খুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৩. পি এম খালী উচ্চ বিদ্যালয়, ৪. চৌফডন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়, ৫. ঈদগাও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ৬. আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ৭. জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
সর্ব মোট ২৬১১ জন শিক্ষার্থী কোডেক পরিচালিত শিখন স্কুলের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে পড়া লেখা করে সমাপনী পরীক্ষায় আংশ গ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
শিখন এর ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মোঃ আজিজুল হক আমাদের রামু কে জানান, শিখন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভাল ভাবে সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে তাদের লেখা পড়া অব্যাহত রাখবে আমি সবার মঙ্গল কামনা করি।