নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মহুরী পাড়া এলাকার মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন এর পরিচালক ও শিক্ষক ডাঃ আবদু জলিলের পুত্র মো: আশেক বিন জলিলকে (২৮) মারধর করে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে মোঃ বেলাল নামের এক দূর্বৃত্ত। বেলাল উদ্দিন একই এলাকার মাহমুদুল করিমের পুত্র। এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেই। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। ২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় মহুরী পাড়াস্থ আসিফ মিয়ার দোকানে।
আশেক বিন জলিল জানান, কোস্টাল এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের তরুণ যুবক নিয়ে আমরা মগনামা আদর্শ শিশু নিকেতন গঠন করি। তার মধ্যে আমরা দিদার হোসেন নামের এক শিক্ষককে নিয়োগদান করি। আর এ বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে মগনামা মডেল কেজি স্কুলের পরিচালক তাওহীদুল ইসলাম আমাদের স্কুলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে ও স্কুল করতে গেলে তাকে চাঁদা দিতে হবে প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে তাওহিদ মাষ্টারের নির্দেশে ভাড়াটি সন্ত্রাসী বেলাল, আসিফ মিয়ার চাঁয়ের দোকানে নাস্তা করার সময় হামলার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সে আমার মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় রোকন, আনসার ও নওশা মিয়া আমাকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ঘটনায় আগামী রবিবার আমি আদালতের ধারস্থ হবো।
এঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেএম জামশেদ উদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুনেচ্ছা, শিক্ষক বোরহানা বেগম, শামীমা আকতার কলি, আবদুল ওয়াহেদ, আশরাফ হোছাইন, মিশকাত হোছাইন, তাসমিন জন্নাত, মিশকাতুল জন্নাত, খালেদা খানম ও হাফেজ আনসার উদ্দিন স্কুলের পরিচালককে চাঁদার দাবীতে হত্যা চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মগনামা মডেল কেজির পরিচালক তাওহীদুল ইসলাম জানান, তার উপর হামলার ঘটনা আমি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় আমার কোন সম্পর্ক নাই। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মাত্র।