হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের রামু ডটকম :
রামু থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেছেন, দুই সহোদর শিশু হত্যাকারীদের অবশ্যই সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এদের রেহায় নেই। তাদেরকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাঁসি দেওয়া হবে।
২ মার্চ বিকাল চারটায় গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামে হাসান-হোছাইন হত্যাকান্ডের তদন্তকালে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জনগণকে অভয় দিয়ে ওসি আরো বলেন, সবাই সত্য স্বাক্ষী দিলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব। এ জন্য এলাকার লোকজনদের পুলিশ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনতা-পুলিশ একযোগে কাজ করলে অপরাধ শূণ্যের কোটায় আসবে।
এসময় থানার নাবাগত পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান, বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান, সাংবাদিক আবদুল হামিদ, সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামীলীগনেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী, সমাজসেবক ইউনুছ মাতবর, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা, ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলী, আবু তাহের প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ জানুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় অপহরণকারি চক্র মোহাম্মদ হাসান শাকিল ও মোহাম্মদ হোছাইন কাজলকে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের পর থেকে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা রামুর বড়বিল, থিমছড়ি, বাইশারী, ঈদগড় সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় নিষ্ফল অভিযান চালায়।
পরে ১৯ জানুয়ারি রাত সোয়া একটার দিকে বড়বিলের একটি বাগান থেকে শিশুদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের পর দুই শিশুকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধজনতা ওই এলাকা থেকে আটককৃত সন্ত্রাসী এবং পলাতক চিহ্নীত সন্ত্রাসীদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসান-হোছাইন ওই গ্রামের মোহাম্মদ ফোরকান ওরপে মিন্টু ও ছেনুআরা বেগমের ছেলে। তারা নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী শাহনূর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা ও নারিচবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
প্রসঙ্গত, গেল ২০১৪ সালের ১১ আগষ্ট রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের নারাইম্মা ঝিরি নামক গহীন এলাকায় হাত-পা ও গলা কেটে আব্দুল মাবুদের ছেলে মো.ইলিয়াছ (২৭) ও আব্দুল মোনাফের ছেলে আব্দুর রহিম (২৬) কে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
উক্ত স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এখনো সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ফের জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।