নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া
আমাদের রামু ডটকম:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে মোরশেদ আলী (৩০) খুনের ঘটনায় ‘দা বাহিনী’র প্রধান মোহাম্মদ শাকিল ওরফে মুসা কাক্কাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৪ মার্চ শুক্রবার মোরশেদ আলীর মা মুজিবুন্নেছা বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দা বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাহাব উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন। গতকাল দুপুরে চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি মুজিবুন্নেছা দাবি করেন, মুসা কাক্কার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন বরইতলী ইউনিয়নের মাহমুদ নগরের খামার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোরশেদকে উপর্যপরি কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে সে তথ্য এজাহারে নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র দাবি করছে, বরইতলীর পাহাড়ি এলাকায় মোহাম্মদ শাকিল ওরফে মুসা কাক্কা ‘দা বাহিনী’ নামের এক বাহিনী গড়ে তুলেন।
পাহাড়ি বনভুমি দখল-বেদখল, বিক্রি ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা এ বাহিনীর কাজ। এ বাহিনীর অন্তত ৪০-৫০ জন সদস্য রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে চিহ্নিত অপরাধী।
সম্প্রতি একটি জীপ গাড়িসহ এক চালককে অপহরণ করে ‘দা বাহিনী’। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ওই চালক ছাড়া পান। এঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিহত মোরশেদসহ দা বাহিনীর অন্য সদস্যরাও আসামি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ সরকার আমাদের রামুকে বলেন, সরকারি সামাজিক বনায়নের জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মুসা কাক্কার সঙ্গে তাঁর গ্রুপের সদস্য মোরশেদ আলীর মধ্যে অন্ত:কোন্দল দেখা দেয়। এ কারণে ওই বাহিনীর অন্য সদস্যরা মোরশেদ আলীকে খুন করেছে।
তবে মামলার বাদি মুজিবুন্নেছা বেগম দাবি করেন, তাঁর ছেলে কোন বাহিনীর সদস্য নয়। সামাজিক বনায়ন দখলে বাঁধা দেওয়ায় তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম আমাদের রামুকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা করছে।’