মেঘলার মন খারাপ।তাকে বললাম,তুমি কিছুদিন তোমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে আসো।হয়তো তোমার মন ভালো হতে পারে।
আজ মেঘলা বাড়ি যাবে।সাথে আমি যাচ্ছিনা।ব্যস্ততার কারণে।এতে মেঘলা রেগে আগুন।মেয়েটার খুব রাগ।কেন যে সে এমন।
দুদিন হলো মেঘলা তার বাবার বাড়ি গিয়েছে।একবার ও খোজ নেয়নি তার।তবে ইচ্ছে করেই আমি এমন করেছি।
মেঘলা আমাকে কল করল।প্রথমবার ধরলাম না।সে দ্বিতীয় বার কল করল।
-কেমন আছো?
মেঘলা,খুব রাগ্বত স্বরে বলল,
:পারলে তুমি ? আমার বিশ্বাস হয়না।
-কী পারলাম ?
:আমাকে এ দুদিন একটা কল করলেনা ? আমি যদি না দিতাম, তবে তুমি কখনো দিতে কিনা সন্দেহ!
আমি ভাব নিয়ে বললাম,
-ও আচ্ছা! একটু ব্যস্ত ছিলাম।কিছু বলবে?
:মানে?
-তুমি কী কিছু বলবে ? আমি একটু ব্যস্ত আছি।
সাথে সাথে শুনলাম টুট টুট আওয়াজ। লাইন কেটে দিয়েছে। আমি জানি ও এখন কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলছে। আমার উপর খুব রেগে আছে।
ওকে এভাবে কাঁদাতে আমার খুব ভাল লাগে।
আমি বুঝিনা এত বড় মেয়েটা এত কাঁদে কেন ? এ কয়দিন আমি ইচ্ছে করেই কল করিনি ওকে।তাই আজ ও থাকতে না পেরে আমাকে কল করেছে।মেয়েটা আমাকে ছাড়া কিছু বুঝেনা। আমার মাঝে মাঝে ভয় হয় কখনো কী হারাবো তাকে?
না,ভাবা যায়না, আমি বাঁচবনা। তাকে আমার চাই।
বাসায় কলিংবেল বাজল, দরজা খোলেই দেখি মেঘলা।
আমি যা ধারণা করেছিলাম তাই হলো।ও কল কেটে দেয়ার পর আমি আরো দুদিন তাকে কোন কল দেইনি। আমি জানি সে এবার বাড়িতে চলে আসবে। আমিও যে পাগলিটাকে ছাড়া বাঁচতে পারিনা!
-তুমি এত তাড়াতাড়ি ? মন ভালো হয়ে গেছে ?
মেঘলা আমাকে কঠিন চেহারায় একমিনিট দেখল।
বেয়াদব,পাষাণ,শয়তান,সুন্দর সুন্দর কথা গুলো বলতে বলতে আমাকে কিল, ঘুষি মারতে শুরু করল।
আমিও এবার দেরি করলাম না।জোর করে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম আই লাভ ইউ।
মেঘলার চোখে জল,সে কাঁদছে!
-আমাকে এতটা কাঁদাও কেন?
:না কাঁদালে কী আজ তোমাকে কাছে পেতাম?
-তাহলে একা ছাড়লে কেন ?
:যদি না ছাড়তাম,তাহলে কাঁদাতে পারতাম ?
-অনিক,তুমি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবেনা তো ?
আমি মেঘলাকে বুকে নিলাম।খুব শক্ত করে। সে তার মাথা আমার বুকে গুজিয়ে রেখেছে।
-পাগলি,তোমাকে আর কখনো কষ্ট দিবনা আমি। তোমাকে অনেক ভালবাসি।
-হুম….
:তোমার চুলের সুগন্ধটা খুব মিষ্টি।আমায় পাগল করে দিচ্ছে।
-সত্যি?
:হাজারো সত্যি।
-অনিক, এবার একটু চুপ থাকো। আমায় এভাবে খুব কঠিন হয়ে জড়িয়ে রাখো প্লিজ!
:হুম পাগলি….