আমাদের রামু প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে জাতির জনকের স্মৃতি অম্লান করে ধরে রাখার জন্য সাগর পাড়ের কলাতলিতে স্থাপন করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর। আজ শুক্রবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে অয়োজিত অনুষ্টানে স্থানীয় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল জাতির জনকের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কক্সবাজারের সাগর পাড়ে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ স্থাপনের এ ঘোষনা দেন।
সকালে কক্সবাজার শহর’র কবিতা চত্বর প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে অয়োজিত অনুষ্টানে দৈনিক কালের কন্ঠের কক্সবাজার প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সন্মান ও স্মৃতি ধরে রাখতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাগর পাড়ে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ করার নাম প্রস্তাব করেন। সৈকত শহরের প্রবেশদ্বারেই বঙ্গবন্ধু চত্বরটি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন,কক্সবাজারে বহু স্মৃতি বিজড়িত স্থান রয়েছে জাতির জনকের। তাছাড়াও শহরের প্রবেশদ্বার কলাতলি দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে-এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতেই হবে চত্বরটি।এসব স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম স্থানটি হচ্ছে ইনানী অরণ্যের আদিবাসী পল্লী। ২০১০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে দৈনিক কালের কন্ঠ সর্বপ্রথম ‘ ইনানীতে বঙ্গবন্ধুর অজ্ঞাতবাস’ শিরোনামে ইনানী আদিবাসী পল্লীর সেই অজানা কাহিনী প্রকাশ করেছিল। তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৫৮ সালে সামরিক শাাসন জারির পর এবং পরবর্তীতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় এখানে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন।এ ছাড়াও ১৯৭৪ সালে জাতির জনকের নির্দেশেই কক্সবাজার সাগর পাড়ের বেষ্টনি ঝাউবিথী বনায়ন করা হয়েছিল।এর পরপরই স্থানীয় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বক্তব্যে জাতির জনকের জন্য কক্সবাজারের সাগর পাড়ে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ স্থাপনের এ ঘোষনা দেন।
এরআগে সকালে কক্সবাজার সাগর পাড়ের কবিতা চত্বর প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় স্থানীয় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি,জাতীয় মহিলা সংস্থার কানিজ ফাতেমা মোস্তাক,জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংস্থার ডেপুটি কমান্ডার মো: শাহজাহান সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কারও বিতরণ করা হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টার সময় জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে সৈকত পাড়ের কবিতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে একটি কেক কাটা হয়।