গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল শীর্ঘ মানব পাচারকারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহপরীরদ্বীপের হেলাল।
পুলিশ সুত্রে জানা জানা যায়, গত ১৬ মার্চ গভীর রাতে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল বহু মামলার পলাতক আসামী এই হেলালকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। সে শাহরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকার মৃত হাজী আবু শামার প্রকাশ বাড়ু হাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও মানব পাচার আইনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এই সেই হেলাল অবৈধ পথে মালয়েশিয়া মানব পাচারের মত ঘৃণ্য কাজে জড়িত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। জোর করে ট্রলারে তুলে অবৈধ পথে পাচার করেছে শত শত নারী-পুরুষকে। তার এই অবৈধ কার্যক্রমকে লক্ষ্য করে এলাকার অনেক লোক মানব পাচারের মত ঘৃণ্য কাজে পড়ে। তার পর সে এলাকায় শীর্ঘ মানব পাচারকারী দালাল হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠে। তার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শত শত হত-দরিদ্র মানুষকে বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাচার করে। এই অবৈধ মানব পাচার বন্ধ হওয়ার পর ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তার পর হেলাল শীর্ষ মানব পাচারকারী থেকে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত হয়। অবশেষে টেকনাফ থানা এস আই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করলে এলাকার মানুষ আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দিন খানঁ আামদের রামু ডটকমকে বলেন, এই সমস্ত ঘৃণ্য কাজে জড়িত থাকার অপরাধে টেকনাফ মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, মাদক, হুন্ডিসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী ছিল হেলাল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।