৪৬ বছর আগে কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার মানুষের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে‘গণহত্যা দিবস’পালন করেছে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বুধবার সকালে ইসলামাবাদের দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় বক্তারা ২৫ মার্চের গণহত্যাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংঘটিত ‘সবচেয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দেন।
এই ধরনের গণহত্যা যেন আর কোথাও না হয়, সেজন্য বিশ্ববাসীর সতর্ক দৃষ্টি ও উদ্যোগেরও প্রত্যাশা করেন তারা।
সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ করে ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবসে দেওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
আলোচনা সভায় পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর বিনা উসকানিতে যে ঘৃণ্য ও বর্বর হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করেছিল পাকিস্তানী বাহিনী, তারই প্রতিক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
“১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন এবং ২৫ মার্চের ভয়াবহতা ও নিহতের সংখ্যার কারণে অনায়াসেইওই রাতের ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ অ্যাখ্যা দেওয়া যায়। ওই দিনই বাঙালি নতুন করে তার ত্যাগের অর্থ বুঝতে পেরেছিল, যা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।”
“তাই আমাদের উচিত বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা যেন এ ধরণের গণহত্যা আর কখনও কোথাও না ঘটে।”
আলোচনার পর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সবশেষে ২৫ মার্চের গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের একাংশ এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সূত্র: বিডিনিউজ।