ইমরান হোসাইন:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ঝুমপাড়া এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র রিক্সা চালক মো: রমজান আলীকে (৪০) হত্যা অভিযোগে অবশেষে আদালতে মামলা রুজু হয়েছে।
২৭মার্চ চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিকটিমের পুত্র দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা রুজু হয়। এ মামলায় টইটং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের এমইউপি আবুল কাশেম ও তার পুত্র মো: হুমাইন, জমির হোসেন, আব্দুল গফুর, মো: জাফর, মো: নিজাম, জিয়াউর রহমান, হামিদুল হক, নবী হোসেন, মো: এয়াকুব, আমির হোসেনসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা বিবাদী করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৯৮/১৭ইং। আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশ বুরো ইনভেসটিকেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ভিকটিমের পরিবার দাবি করছে, এ মামলার বাদি দেলোয়ার হোসেনকে ফাঁসাতে আবুল কাশেম ও অন্যান্য বিবাদীদের ইন্ধনে তার ভাগনী মৃত ওমর আলীর কন্যা জুনুআরা বেগমকে(৩০) বাদির বাড়িতে পাঠিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করে। সর্বশেষ তিনি ওই বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে বাদি দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই মেয়েকে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে বাদির পরিবার পেকুয়া থানার ওসিকে মোঠোফোনে বিষয়টি অবগত করে। ওসি ওই মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন।
বাদি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার পিতাকে গত ২ মার্চ মামলায় উল্লেখিত আসামীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সে সময় মামলার এজাহার পেকুয়া থানার ওসির বরাবর দিলেও তিনি মামলা রেকর্ড না করে ২০দিন পর এজাহার ফেরত দেন। পরে আমি নিরুপায় হয়ে চকরিয়াস্থ মাননীয় আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত মামলাটি গ্রহন করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি পিতার এক মাত্র সন্তান। থানায় এজাহার দেয়ার পর থেকে অদ্যবধি আদালতে মামলা করার পর আসামীরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি খুবই ভয়ভীতিতে আছি। আমাকে পিতার পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন অজুহাতের পায়তারা শুরু করেছেন বিবাদীরা। এব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।