সোয়েব সাঈদ:
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি বলেছেন, সু স্বাস্থ্যের জন্য পরিস্কার পরিচ্ছন থাকা প্রয়োজন। অধিকাংশ রোগ ময়লা আবর্জনা থেকে ছড়ায়। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থান বা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে তা অন্যত্র সরিয়ে রাখতে হবে।
রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে রামুর সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক এলাকা চৌমুহনী স্টেশনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার (১এপ্রিল) সকাল ১১টায় রামু চৌমুহনী স্টেশনে এ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান, রামু থানার উপ পরিদর্শক মুকিবুল, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, ইউপি সদস্য নুর আহমদ, জাফর আলম, কামাল উদ্দিন, সন্তোষ বড়ুয়া ও লিটন বড়ুয়া লুতু, সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য নুর নাহার বেগম ও রাশেদা খানম, চৌমুহনী বণিক সমিতির সদস্য আজিজুল হক আজিজ, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরকান, মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আতাউর রহমান ও মাওলানা আবুল ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।
পরিস্কার-পরিচ্ছনতা কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব গফুর মিয়া ও রেফারি ওমর ফারুক মাসুম।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, ইউনিয়নের পরিষদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় মাসিক বেতনে দুইজন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা রামু চৌমুহনী স্টেশন এবং চৌমুহনী হতে দক্ষিণে তেমুহনী, পূর্বে চেরাংঘাটা, পশ্চিমে বাইপাস এবং উত্তরপাশে মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদরাসা এলাকা পর্যন্ত নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ময়লা-আবর্জনা অন্যত্র অপসারণের কাজ করে যাবে।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট পোষাক, ময়লা অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ভ্যান গাড়ি দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়িরা জানান, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়। অতীতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যে কারনে চৌমুহনী স্টেশনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর ছিলো। এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখারও দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা।