খালেদ শহীদ:
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পূণ্যময় অঞ্চল রামু। সম্প্রীতির রামুতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এক সাথে বসবাস করেন। রামু এই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।
রোববার (২ এপ্রিল) রাত ৮টায় রামুর রাজারকুলের রামকুট তীর্থধামে অনুষ্ঠিত শিবদর্শন ও মহারামনবমী মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
পাঁচ দিনব্যাপী শিবদর্শন ও মহারামনবমী মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, রামু সেনানিবাসের ৯৭ পদাতিক ডিভিশন কক্সবাজার এরিয়া কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল আকতার মিয়া।
ময়মনসিংহ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তিপ্রদানন্দ মহারাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচকের বক্তৃতা করেন।
হাজারো ভক্তের পদচারনায় পাঁচ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন ঘোষনা করে বক্তৃতা করেন, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ। এ অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।
শ্রীশ্রী মহারামনবমী মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বদীপ শর্মা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ কে শ্রী জ্যোতিসেন থের, কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট দীলিপ কুমার ধর, উপদেষ্টা মাষ্টার সুনিল শর্মা, অনিল কান্তি শর্মা, ননী গোপাল দে, সহ-সভাপতি ডা. আশুতোষ চক্রবর্তী মন্টু, রামু উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ আহ্বায়ক তপন মল্লিক প্রমুখ।
রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি সুশান্ত পাল বাচ্চু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন, রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ শিকদার, শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন, শ্রীশ্রী মহারামনবমী মেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজিত ধর প্রমুখ।
শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের স্মৃতিকে ধারণ করে পঞ্চবটীবন রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের শ্রীশ্রীরামকুট তীর্থধামে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর চৈত্র মাসে পাঁচ দিনব্যাপী রামচন্দ্রের জন্মোৎব উপলক্ষে শিবদর্শন ও মহারামনবমী মেলার আয়োজন করে।
৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোরে বিজয়াদশমী, মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, মোহন্ত ও বৈষ্ণব বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী শিবদর্শন ও মহারামনবমী মেলা শেষ হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, চট্টগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী শিমুল শীল।
পাঁচ দিনব্যাপী এ মেলায় প্রতিদিন নামসূধা পরিবেশন করবে, গোপালগঞ্জ’র নর-নারায়ণ সম্প্রদায়, চট্টগ্রামের সচ্চিদানন্দ সম্প্রদায়, স্বামী জগদানন্দ সম্প্রদায়, গোপাল বাড়ী, সিলেটের রাম-কানাই সম্প্রদায় ও জগন্নাথ সম্প্রদায়। বাসন্তীদেবীর পূজা, মহতি ধর্মসভা, চব্বিশপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ, রামনবমীব্রত, শিবদর্শন ও মহারামনবমী মেলা সনাতনী ভক্তের আগমনে পূণ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের প্রাচীন পাহাড়ী অঞ্চল রামকুট।