১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। আজকের এই দিনে টুঙ্গীপাড়াতেও একটি শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই শিশুটিই কালে জাতির পিতা হয়ে উঠবেন তা কেবা জানতেন। এটাই তো হল। মার্চে জন্ম নেয়া এই শিশুটিই বাংলাদেশ নামের আলাদা ভূখন্ড প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
মুক্তিকামী এই নিরস্ত্র জাতিকে তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখালেন। ৭ মার্চে তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণ শোষিত ও অধিকার বঞ্চিত এই জাতিকে মরণ পাগল করে তুলল।
শেখ মুজিবের ভাষণ মানুষকে এতটাই টেনেছিল যে, মা তাঁর ছেলেকে, স্ত্রী তার স্বামীকে, পিতা তার সন্তানকে, বোন তার ভাইকে হাসি-মুখে যুদ্ধে পাঠানোর মত শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছিলেন।
শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না। এই সত্যটি তাঁর মৃত্যু পরবর্তী আরো বেশি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মৃত্যুও পরে তিনি আরো বেশি জীবন্ত হয়ে উঠলেন। এ দেশ, এদেশের মাটি ও মানুষ তাঁকে কখনো ভুলবেনা। তিনি বেঁচে থাকবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
জাতির পিতা শিশুদের জন্য যেমন দেশ এবং বিশ্ব চেয়েছিলেন তা এখনো গড়ে তোলা সম্ভবপর হয়নি। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। শিশু নির্যাতন, হত্যা, শ্রম আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে।
বিদ্যা নিকেতন, হাসপাতালের বেড আজকে কোনটিই শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়, এমনকি মায়ের কোলও। অথচ এমন হবার কথা নয়।
এ দেশ এবং বিশ্ব শিশুদের জন্য বাস উপযোগী হয়ে উঠুক এটাই হোক এবারের জাতীয় শিশু দিবসের অঙ্গীকার।
জাতির পিতার ৯৭ তম জন্ম দিবসে শ্রদ্ধা নিরন্তর।