প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু:
কক্সবাজারেরর রামু উপজেলার কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে নবনির্মিত ২৮ বুদ্ধের বোধিমন্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং উৎসর্গ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে এক মহতী সংঘদান ও অষ্টউপকরণ দানসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ এপ্রিল শুক্রবার রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মহান একুশে পদকে ভূষিত উপসংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধর্মদেশনা দান করেন চট্রগ্রাম নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রিয়রত্ন মহাথের এবং শ্রীলংকা থেকে আগত ভদন্ত প্রজ্ঞাপাল ভিক্ষু প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের দাতা ও ব্রতী ডাঃ ভাগ্যধন বড়ুয়া। এসময় স্থানীয় উপাসক উপাসিকাদের মাঝে শ্রীলংকার জানেকা পেরেরা, নিলানথা ওয়াকিউলা এবং শেরেনি ওয়াকিউলাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৮ বুদ্ধের দৃষ্টিনন্দন এই বোধিমন্ডপ এককভাবে নির্মাণ করেন কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার নিজপানখালী বিনামারা গ্রামের জন্মজাত সন্তান শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ও কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া ও তার সহধর্মীনী নিবেদিতা বড়ুয়া। এই বোধিমন্ডপের প্রকৌশলী ছিলেন শ্রীলংকার জানেকা পেরেরা।
বোধিমন্ডপের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সেখানে একটি বড় আকারের বুদ্ধ প্রতিবিম্বসহ সর্বমোট ২৯টি বুদ্ধপ্রতিবিম্ব স্থাপন করা হয়। এই বুদ্ধপ্রতিবিম্বগুলো দান করেন শ্রীলংকার এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। পরে সঙ্গত কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। বোধিমন্ডপের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে টাইলস এবং আলোকজ্জা দান করেন শ্রীলংকার নিলানথা ওয়াকিউলা এবং শেরেনি ওয়াকিউলা।

যে বৃক্ষের নামানুসারে ‘বোধিমন্ডপ’নামকরণ করা হয় সেই বোধিবৃক্ষের চারা অনুষ্ঠানের আগের দিন শ্রীলংকা থেকে আনা হয়। চারাটি মন্ডপের মাঝখানে রোপন করা হয়েছে।