আমাদের রামু রিপোর্ট:
গত ১১ মে ‘দৈনিক কক্সবাজার’ পত্রিকায় ‘রামুতে ইয়াবা নগদ টাকাও মটর সাইকেলসহ ২যুবককে আটক করেছে বিজিবি’ ও ‘আজকের দেশ বিদেশ’ পত্রিকায় রামুতে ‘বিজিবির অভিযানে নগদ টাকা ও ইয়াবাসহ আটক-২’সহ বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মুলত ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো এবং ষড়যন্ত্র মূলক। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ মিজানুর রহমান ও নুরুল আমিন নামের যে দুই যুবককে আটক দেখানো হয়েছে এদের দুইজনেরই বাড়ি কাউয়ারখোপ উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া এলাকায়। মিজানুর রহমান চা বাগান স্টেশনের পোল্টি ব্যবসায়ি আর নুরুল আমিন কক্সবাজার সরকারী কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স ফাইনাল বর্ষের ছাত্র ছাত্র। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুক্তিভিত্তিক টিকাদান কর্মী এবং মিজানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন চাকুরী করে।
মূলত ঘটনাটি হচ্ছে,টিলাপাড়া গ্রামের প্রতিবেশী হাফেজ আহম্মদের ছেলে মো. হোছনের সাথে আটককৃত মিজানের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সুসম্পর্ক ছিল। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মো. হোছন মিজানের এক বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু হোছন পূর্ব বিবাহিত হওয়ায় তার বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে মিজানের পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. হোছন মিজানের বড় ভাই আব্দুল আজিজকে অপহরনের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় রামু থানায় মামলাও রুজু করা হয়। পরে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম এর মধ্যস্থতায় ঘটনাটি আপোষ মিমাংসা হয়।
কিন্তু সম্প্রতি মিজানের ওই বোনের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় এবং আগামী ১৮ মে বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. হোছন রামু ৫০ বিজিবির চেরাংঘাটাস্থ ক্যাম্পের সিকিউরিটি নামে পরিচিত এপেক্স জাকিরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে পরিত্যক্ত ইয়াবা দিয়ে এদের আটক করা হয়। মূলত ওই সময় মিজান ও নুরুল আমিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসার প্রায় ৫৭ হাজার টাকাসহ নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা বিজিবি সদস্যরা চেরাংঘাটা এলাকায় গতিরোধ করে তাদের আটক করে। এসময় পরিত্যক্ত ইয়াবার প্যাকেট বের করে তাদের কাছে পাওয়া গেছে বলে জনসমক্ষে প্রকাশ করে।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃতদোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন মিজানের বড়ভাই আব্দুল আজিজ ও নুরুল আমিনের বড়ভাই নুরুল হুদা।