গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
বর্তমান সরকার গরীব ও হতদরিদ্র অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে পূর্ণবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
৪ জুন সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ঘুর্নিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরণকালে উপরোক্ত কথা গুলো বললেন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম)।
সুত্রে জানা যায়, ৪ জুন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে টেকনাফের ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর বিকাল ৪টায় টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় উপস্থিত হন। উক্ত আলোচনা সভা ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সরওয়ার আলমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) বিশেষ হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ শফিক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক স¤পাদক এইচএম ইউনুছ বাঙ্গালী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলার অসহায়-দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে আক্রান্ত হওয়া কোন মানুষ যেন না খেয়ে থাকতে না হয়। জরুরী ভিত্তিতে সেই পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে বসত-বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এরপর সভা শেষে তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ২ হাজার পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করেন।