সোয়েব সাঈদ, রামু।
রামুতে অগ্রযাত্রা’র উদ্যোগে গ্রামীন নারীদের অংশগ্রহনে সোনালী আঁশ পাটের বহুমুখি পণ্য তৈরীর ৫দিন ব্যাপী ‘দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ শুরু হয়েছে। রবিবার ২৭ মার্চ সকাল দশটায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা’র কার্যালয়ে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন। এরই লক্ষ্যে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়িয়ে পাট শিল্পকে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এরফলে দেশের দরিদ্র জনগনের কর্মসংস্থান ও কৃষিক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ দূষনকারী পলিথিনের ব্যবহার কমে যাবে। তিনি আরো বেশি করে গ্রামীন নারীদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বহুমুখি পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র (জেইএসসি), জুট ডাইভার সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এবং চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা।
বহুমুখি পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ গাজী মো. ফসিউল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, অগ্রযাত্রার সভাপতি নীলিমা আকতার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বহুমুখী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্রের প্রশিক্ষক শামীম আহমেদ, রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা “অগ্রযাত্রা” কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাতা সংস্থা খ্রিষ্টান এইডের আর্থিক সহায়তায় টেকনিক্যাল স্কিল্স ডেভেলপমেন্ট এন্ড লাইভলীহুড প্রজেক্ট নামে একটি আয়বর্ধকমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জীবন জীবিকার মান নিশ্চিত করার জন্য ৪০০ জন বেকার যুব নারী-পুরুষকে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে তৈরীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত বিপদাপন্ন অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠিকে দরিদ্রতার করালগ্রাস থেকে মুক্ত করা। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রান্তিক বেকার যুবসমাজ মূলত মহিলাদেরকে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ প্রতিযোগি হিসেবে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও মানসিক পরিবর্তন সাধিত করা। যাতে তারা নিজেরা আয়বর্ধকমূলক বিভিন্ন পন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের মাধ্যমে তাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়। এ প্রশিক্ষণে নারীদের হাতের তৈরী বিভিন্ন পণ্য যেমন, সেলাই, ব্লক, বাটিক, ক্রুশেট, ফুল, হ্যান্ড, এমব্রয়ডারি, ব্যাগ, শো-পিচ, বাঁশ, বেত, পাটের বহুমুখি পণ্য ও উন্নত চুলা সহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উক্ত আয়বর্ধকমূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন বহুমুখি পাট শিল্প উদ্যোক্তা সেবা কেন্দ্র (জেইএসসি) ও জুট ডাইভার সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এর সহযোগিতায় গ্রামীন নারীদের অংশগ্রহনে পাটজাত পণ্য তৈরীর ৫দিন ব্যাপী ‘দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ শুরু হলো। ৫দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।