প্রতিবন্ধী হলেই অটিস্টিক না বলতে সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে আসা সায়মা হোসেন পুতুল।
“অটিজম নামটা এত বেশি পরিচিত হয়ে গেছে যে কোনো কিছু হলে আমরা অটিজম বলি। আমি অনুরোধ করব, এত সহজে সবাইকে অটিস্টিক বলেন না।”
শনিবার আন্তর্জাতিক অটিজম সচেতনতা দিবসে এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা।
এই দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানে সায়মার ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন।
অটিজমকে জটিল রোগ উল্লেখ করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সায়মা বলেন, “এটা একটা কমপ্লেক্স নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার। এটা শুধু ওই মানুষটাকে এফেক্ট করে না, পুরো পরিবারকে এফেক্ট করে।”
অটিস্টিকদের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কাউকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা পুরো দেশের উন্নয়ন করতে চাই। আমরা কাউকে ভুলে যাব না। কাউকে ফেলে রেখে এই দেশটা বড় হবে না।
“তারা (অটিস্টিক) যেন আমাদের দেশের একটা অংশ মনে করে চলতে পারে। তারা যেন নিজেদের ভিন্ন মনে না করে। শুধু বাবা-মা না; পুরো পরিবার, পুরো সমাজকে সহায়তা দিতে হবে।”
অটিস্টিকদের সমাজের স্বাভাবিক জীবনের অংশ করতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা।
বাংলাদেশে ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটিতে ১৪টি মন্ত্রণালয় মিলে কাজ করার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা অনেক উপায় চিন্তা করছি।
“যেন আগে ধরা যায়, চিকিৎসা, সামাজিকভাবে চিকিৎসা, স্কুলে শিক্ষা, কর্মজীবী করা- সব কিছু নিয়ে আমরা চিন্তা করছি… অল্প অল্প করে আমরা এগুচ্ছি।”
অটিস্টিকদের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতির কথা তুলে ধরে সায়মা বলেন, “একেক দেশে একেক জিনিস আছে করার। আমরা আমাদের দেশে একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছি।”
অটিজম মোকাবেলায় আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার উপরও জোর দেন তিনি।
“আমরা বাংলাদেশে এই দিনটা অনেক বড় করে পালন করি। খুব কম দেশ আছে যে, এত বড় করে দিনটা পালন করা হয়। এজন্য, আমরা অনেক গর্বিত।”
বিডিনিউজ