শহিদুল ইসলাম, উখিয়া।
উখিয়ায় ভূঁয়া দন্ত চিকিৎসকের অপচিকিৎসা থেমে নেই। রীতিমত উপজেলা সদরের একটি আবাসিক হোটেলে চেম্বার খুলে অবাধ সাধারণ লোকজনদের চিকিৎসার নামে দন্তহানীর মত ক্ষতিকর অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে কথিত ভূঁয়া দন্ত চিকিৎসক।
সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও উখিয়া ডেন্টাল সেন্টার নামক উক্ত ভূঁয়া প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উখিয়া কলেজের অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ বলেন, দন্ত চিকিৎসক ভেবে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য উখিয়া ডেন্টাল সেন্টারে সম্প্রতি নিয়ে যাই। দেখা গেল, একে একে কয়েকটি ভাল দাঁত সেখানকার কথিত ভূঁয়া ডাক্তার ইকবাল হাসান তুলে ফেলে। কাঁচা দাত উপড়ানোর যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়া আমার স্ত্রীকে অন্যত্র উন্নত চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি আর্থিকভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
একই অভিযোগ উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের সাবেক ইউ,পি, মেম্বার বয়োবৃদ্ধ আলহাজ্ব ছব্বির আহমদের। উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমার বৃদ্ধ মাকে দাঁতের ব্যাথা সারতে উক্ত ক্লিনিকে নিলে সেখানকার কথিত ভূঁয়া ডাক্তার ৩টি দাঁত উপড়িয়ে ফেলে।
এ ধরনের আরো অনেক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে উক্ত ডেন্টাল সেন্টারকে প্রশিক্ষিত ও ডিগ্রিধারী ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা করানোর অভিযোগে ভূঁয়া ডাক্তার ইকবাল হাসানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ক্লিনিকখানা সিলগালা করে দেন।
পরবর্তীতে ডিগ্রিধারী প্রশিক্ষিত ডাক্তার প্রতি শুক্রবার রোগী দেখবে শর্তে চেম্বার খোলার অনুমতি দেন এবং অন্যথায় কোনভাবে চেম্বার খোলা যাবে না বলে ইউএনও জানান। কিন্তু শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উক্ত ডেন্টাল চেম্বারে গিয়ে কোন ডাক্তারের দেখা না পাওয়া গেলেও কথিত ভূঁয়া ডাক্তার ইকবাল হাসান রোগীদের মুখে অস্ত্রোপচার চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
অথচ উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে কোন ডিগ্রিধারী অনুমোদিত সার্জন ছাড়া কোন রোগীকে অস্ত্রোপচার করা যাবে না। ওই ভূঁয়া দন্ত চিকিৎসক ইকবাল হাসান ইউএনও’র মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানোর দাবি করে।
ভুক্তভোগী লোকজন অবিলম্বে উল্লেখিত ভূঁয়া দন্ত চেম্বার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।