নিজস্ব প্রতিনিধি,কুতুবদিয়া।
ঘরোয়া তৈরি ২৭ বছর আগের বরইয়ের আচার ও খেজুরের রাব এখনো অক্ষত রয়েছে। স্বাদ ও সুগন্ধি রয়েছে অটুট। এ যেনো মেয়াদ উত্তীর্ণের বালাই নেই।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শেখের কিল্লার ঘোনার বাসিন্দা মরহুম মাষ্টার ছৈয়দ আহমদ‘র স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম এই আশ্চর্য্য বরই আচার তৈরির কারিগর।
তার পুত্র কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ইপিআই টেকনিশিয়ান ছৈয়দ কামরুল হাসান জানান,১৯৮৯ সালে তিনি এইচএসসি তে পড়ার সময় তার মা ১১ মার্চ বরইয়ের দু‘টি আচার একটি গুঁড়ো ও আরকটি আস্ত বরই আচার তৈরি করে দেন। একই সাথে খেজুঁরের রসের রাব তৈরি করে খেতে দেন তাকে। মাঝে মধ্যে কিছুটা খেলেও বাকিটা রয়ে যায়।
তিনি বলেন, একই বছর ২৬ জুন তার প্রথমে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরী হওয়ায় চলে যান বিভিন্ন উপজেলায়। যে কারণে সময় মতো আচার গুলো খেয়ে শেষ করতে পারেননি।
দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত অক্ষত বরই আচারের উপাদান সম্পর্কে তিনি বলেন কাচেঁর জার(বৈয়ম) ,শুকনো বরই,খাঁটি সরিষার তেল,তেঁজপাতা,চিকন জিরা,মিষ্টি জিরা,গুড় ও সরিষা এই আচারের প্রধান উপাদান।
২৭ বছরেও আচারগুলো নষ্ট না হওয়ার পেছনে তিনি খাঁটি সরিষার তেল‘র কারণ বলে মনে করেন্। এতো পুরনো আচার ঘরে অক্ষত থাকায় অনেকে পুরনো অসুখ-বিসুখ নিরাময়ে খেয়েছেন বলেও জানান।
এ ছাড়া এখনো উৎসুক বন্ধুরা গেলে তাদেরও কিছুটা খেতে দিয়ে থাকেন।তবে যারা এ আচার খেয়েছেন তাদের তাদের স্বাস্থ্যগত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদের একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান বলেন,২৭ বছর আগে ঘরোয়া ভাবে তৈরি বরই আচার গুলো খেতে স্বাদ,গন্ধ সবই ঠিক রয়েছে। সামান্যতম রং পরিবর্তন কিংবা স্বাদের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি বলে তিনি জানান।