টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
আমাদের রামু ডটকমঃ
টেকনাফ উপজেলার প্রচন্ড গরমের সাথে পাল্লাা দিয়ে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের তেলেশমাতিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এতে চেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এইচ এস সি পরীক্ষীরা। কারণ তারা অন্ধকারে টিকমত লেখাপড়া করতে পারছেনা।
অন্যদিকে অচল হয়ে পড়ছে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলো। স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, এক বার লোডশেডিং হলে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পার হয়ে যায় কিন্তু সহজে বিদ্যুতের দেখা মিলেনা আবার কোন কোন সময় একটানা ৫/৬ ঘন্টাও বিদ্যুৎ খুঁজে পাওয়া যায়না।
সকাল থেকে ঘনঘন লোডশেডিং করার পর বিকেল বেলায় স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুতের দেখা মিললেও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভা সহ গোটা উপজেলাবাসী অন্ধকারে ডুবে থাকে। গভীর রাতে বিদ্যুৎ আসলেও তাতেও শুরু হয়ে যায় লোডশেডিংয়ের তেলেশমাতি।
এভাবে প্রতিনিয়ত রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুতের দেখা মিলে তাও আবার ভেলকিবাজির মাধ্যমে। এতে টেকনাফ উপজেলারবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই।
এদিকে সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। অচল হয়ে পড়ছে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।
এ ব্যাপারে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদু রহমান , মো: সেলিম , সালমা আকতার সহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি কয়েকবার বিদ্যুত আসা-যাওয়া করার কারণে আমরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এ সময়টাতে অন্তত ২/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পেলে কিছুটা পড়ালেখা করা যেত।
টেকনাফ উপরে বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভেলকিবাজির কারণে ব্যবসা বাণিজ্য একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ আসলেও কিছুক্ষণ পর পর আবার চলে যায়। লোডশেডিং নিয়ে খুবই কষ্টে আছি এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
এ দিকে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম পলাই মিত্র আমাদের রামু ডটকমকে জানান, কক্সবাজার অফিস থেকে যে ভাবে বরাদ্দ হয় ঠিক সেইভাবে আমরা বিদ্যুৎ সর্বরাহ করে থাকি। এ ব্যাপারে আমাদের করার কিছুই নেই।