নঈম আল ইস্পাহান, রামু।
রিমি আমার সাথেই পড়ে।দেখতে খুব সুন্দরী মেয়েটা।বিশেষ করে তার চুল গুলো খুব জটিল ছিল।কেননা,সব সময় চুল গুলো আঁকাবাঁকা হয়ে থাকত।অনার্সের প্রথম ক্লাসেই আমি তার চুলের প্রেমে পড়েছিলাম।এমন অনেকদিন গেছে আমি রিমির চুল অপলক দেখে গেছি।আর ক্লাসে স্যার রোল কল করার সময় আমার কখনোই খেয়াল থাকত না।নিয়মিত ক্লাস করার কখনো অভ্যেস ছিলনা আমার।কিন্তু তার মায়াবী মুখটা দেখার জন্য ক্লাসে যেতে বাধ্য ছিলাম।
একদিন আমার ছোটবোন কে রিমির একটি ছবি দেখালাম।ক্লাস চলাকালে চুরি করে তুলেছিলাম।আমার ছোট বোন রীতিমত বকা দিল।চুরি করে মেয়েদের চুলের ছবি উঠিয়েছো? তাকে বললাম,দেখ কত সুন্দর চুল।আজ পর্যন্ত এমন সুন্দর চুল আমি আর দেখিনি।তখনই আমার কবিতা আবৃত্তির ইচ্ছে হলো।
“চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য;অতিদূর সমুদ্রের পর”
ছোট বোনটি বলল,চুপ কর।
-ভাইয়া, এগুলো পার্লারে গিয়ে করছে।পাঁচ হাজার টাকা লাগে!
-পাঁচ হাজার টাকা ?
আমি মনে মনে খুব কষ্ট পেলাম।মানে যে চুলের জন্য এত পাগলামি তা আসল নয় ? তাও আবার এত খরচ ? যদি কখনো আমাকে দিতে হয় তাহলে এত টাকা কোথায় পাবো ?