টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
টেকনাফ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে সাধারণ মানষের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ টেকনাফের আম রপ্তানি হচ্ছে এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এখানকার মানুষ আর আম পাকার অপেক্ষায় থাকছে না। কারণ বাজারে কাচাঁ আমের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সব আম পেড়ে নিয়ে আসছে বাজারে, প্রতি কেজি কাচাঁ আম বিক্রি করে পাচ্ছে ৭০-৮০টাকা। পাইকারী আম ব্যবসায়ীরা সেই আম গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে সংগ্রহ করে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তারা সেই কাঁচা আম রপ্তানি করে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
আমের মেীসুম এলে দেশের বিভিন্ন স্থানে টেকনাফের কাচাঁ আমের চাহিদা বেশি থাকে। টেকনাফের আমের বাম্পার ফলন হলেও এ অঞ্চলের মানুষ পাকা আমের মধুর রসে মুখ রাঙাতে পারবে না। টেকনাফের মানুষ নিজেরা এ কাঁচাআমের স্বাদ না নিলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এই স্বাদ নিচ্ছে।
টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কাঁচা আমের বিশাল বাজার। বস্তায় বস্তায় কাঁচা আম আসছে এই হাটে। এদিকে পাইকাররা আম গুলো ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে চট্রগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
টেকনাফ পৌরসভার আম ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম জানান, টেকনাফ উপজেলায় এবার আমের ফলন ভাল হয়েছে। কাচাঁ আমের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা আমাদের কাছে প্রচুর আম বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করেছে। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর এই মৌসুমে কাচাঁ আমের পাশাপাশি পাকা আমেও ভরপুর থাকত। কিন্তু এখন আর পাকা আমের দেখা নেই বললে চলে। কারণ কৃষকরা টাকার লোভে সব কাচাঁ আম বিক্রি করে দিয়েছে। প্রতিদিন টেকনাফ থেকে ৫-৬ ট্রাক কাঁচা আম চট্রগ্রাম এবং ঢাকায় যাচ্ছে, যার বাজারদর ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মতো।
এব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের আম চাষি সৈয়দ আকবর বলেন, প্রতিবছর টেকনাফে আগাম আমের ফলন হয় এবং খেতেও সু-সাধু। পাশাপাশি টেকনাফের এই কাচাঁ আমের প্রতি চাহিদা বেশি থাকে দেশের বিভিন্ন আচার তৈরি মালিকদের । এতে দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এখানকার আমের চাহিদা ও কদর।