নওগাঁয় রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নে উজালপুর গ্রামে বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান পাওয়া গেছে। ব্যাপক অনুসন্ধানের প্রায় ১০ মাস পর একজন প্রত্নতত্ত্ববিদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ বিহারের খনন কাজ।
এখানে শত শত বছর ধরেই রয়েছে একটি উঁচু মাটির ঢিবি। সম্প্রতি আবু আল হাসান নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদ ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান পান। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনুমতির পর এটি খননের উদ্যোগ নেন তিনি। প্রাথমিক অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে পড়েছিলেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজের উদ্যোগেই খনন কাজ শুরু করেন আল হাসান। সেখানে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের আকৃতির অবকাঠামো পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রত্নতত্ত্ববিদ আবু আল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত যতোটুকু স্থাপত্য নির্দশন পাওয়া গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে সম্ভবত এটা পাল যুগের কোনো বৌদ্ধ স্থাপনা। এমন স্থাপনা মানেই হয় মন্দির হবে নয়তো বা বিহার।
বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতি গভীর আগ্রহ থেকে খনন কাজ দেখতে ভীড় করছেন অনেকেই। জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটের সাবেক মহা-পরিচালক এ এ এস মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত জনসাধারণ যদি এই ইতিহাসটা অবলোকন করতে পারে তাহলে তা হবে এক বিরাট ঘটনা।
ইতিহাসবিদ ডক্টর পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাক্তিগত উদ্যোগে যে এতো বড় কাজ করা সম্ভব এটা আমরা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
এলাকায় প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিস্কারে আনন্দিত এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এটি পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান হলে পাল্টে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক চিত্র। এখানকার একজন বলেন, এটা একটা দর্শনীয় স্থান হবে আশেপাশে থেকে লোক আসবে যা আমাদের গ্রামের জন্য খুবই উপকার হবে।
উত্তরাঞ্চলে অসংখ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলো আবিস্কার, উদ্ধার এবং সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে বেরিয়ে আসবে হাজার বছরের ইতিহাস।
সূত্রঃ বিবর্তন