তৃতীয় দিনেও সুন্দরবনের আগুন নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মানিকুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার সারাদিন পানি ছিটালেও বেশ কয়েকটি স্থানে সন্ধ্যায়ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
“কিন্তু অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ স্থগিত করেছে।”
শনিবার সকালে তারা আবার কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
পানি সংকট আর প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে, তিনি বলেন।
বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ২৫ নম্বরর কম্পার্টমেন্টের তুলাতলায় আগুন লাগে। এক মাসের মধ্যে এটি সুন্দরবনে চতুর্থ বারের আগুন।
এদিকে শরণখোলা থানার ওসি মো. শাহ আলম মিয়া জানান, সুন্দরবনে আগুন লাগানোর সন্দেহে খলিলুর রহমান হাওলাদার (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে বলে জানান ওসি।
এর আগে নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলকায় আগুন লাগার ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেন। এছাড়া বনবিভাগ বন আদালতে আরও একটি মামলা করে।
এসব মামলায় খলিলকে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
অপরদিকে সুন্দরবনে দফায় দফায় আগুন লাগার কারণে চাঁদপাইয়ের পর শরণখোলা রেঞ্জেও বনজীবীদের সব ধরনের পাস-পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে বন বিভাগ।
যেসব জেলে, মৌয়ালী বা বাওয়ালীরা পাস-পারমিট নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করছে তাদেরও দ্রুত বন থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. জহির উদ্দিন আহমেদ।
বিডিনিউজ