শহিদুল ইসলাম,উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালংয়ের সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনের হেফজখানার নামে চলছে জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম।
জানা গেছে, সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক মোঃ ইছহাক ১৯৯৩ সাল থেকে জামায়াত নেতা মৌলানা রহমত উল্লাহকে ঐ স্কুলের ভবনটি ব্যবহার করার জন্য অনুমতি দেন বলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ কাশেম স্বীকার করেছেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন হেফজখানার নামে বিদেশী অর্থায়ানে ওখানে জঙ্গির আস্তানা তৈরি করেছে। ওই মৌলভী রহমত উল্লাহ সোনারপাড়া আহমেদিয়া ছুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার কারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সে প্রায় সময় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য বিদেশে পাড়ি জমিয়ে থাকেন বলেন এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন আগামী ৮মে অর্থ সংগ্রহের জন্য সৌদি আরব গমন করার কথা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ হেফজখানার নামে মৌলভী রহমত উল্লাহ কি করছে তা ভাবা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ওই হেফজখানায় প্রতিনিয়ত জামায়াত-শিবিরের লোকজন বৈঠক করতে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মৌলনা রহমত উল্লাহ বলেন, ১৯৯৩ সালে সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক মোঃ ইছহাকের নিকট থেকে বরাদ্দ নিয়েছি। বর্তমানে ওই হেফজখানায় ২জন শিক্ষক দ্বারা ৬০ শিক্ষার্থীকে কোরান শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনারপাড়া আহমেদিয়া ছুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌলানা মোঃ ফরিদ উদ্দিন ওই মাদ্রাসার কারী শিক্ষক মৌলানা রহমত উল্লাহ মাদ্রাসা ও হেফজখানার নামে বিদেশী পাড়ি জমিয়ে থাকেন বলে তিনি জানান। ওই মৌলভী রহমত উল্লাহ শুধু সরকারি ভবনে হেফজখানা নয়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাদ্রাসার জায়গায় টয়লেট ও স্থাপন করেছেন।
উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামীম ভুইয়া বলেন, সরকারি স্কুলের জায়গা উদ্ধারের জন্য সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ কাশেমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।