বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের পর নতুন স্থায়ী কমিটি না হলেও পুরনো কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সোমবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া এই বৈঠক চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কোনো ব্রিফিং করেননি।
তিনি বলেছেন, “পরে জানানো হবে।”
একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৈঠকে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী হাই কোর্টে অবৈধ ঘোষণা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোজার আগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নেতাদের নামে দায়ের মামলা এবং দলের সাংগঠনিক কার্য্ক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে পুরনো কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান এবং ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর নির্বাচিত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ১৩ সদস্যের স্থায়ী কমিটিকে ১৯ সদস্যে উন্নীত করা হয়।
ওই ১৯ জনের মধ্যে তিনজন- ড. আর এ গনি, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী মারা গেছেন।
জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আট বছর ধরে আছেন যুক্তরাজ্যে।
গত ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের পর নতুন স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাহী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক কার্য্ক্রম চলার কথা।
তবে ষষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার ৪৮ দিন পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি বিএনপি।
গত ৩০ মার্চ মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মিজানুর রহমান সিনহার নাম ঘোষণা করা হয়।
পরে দুই দফায় যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৪০টি পদে মনোনীতদের নাম জানায় দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর থেকে সংসদের বাইরে থাকা দলটি।
[বিডিনিউজ]