অনলাইন ডেস্কঃ
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ আসার প্রেক্ষাপটে সব ধরনের নিয়োগে আগের মতো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবি উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য চত্বরে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানায় আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি শাহবাগে হওয়ার ঘোষণা থাকলেও সেখানে পুলিশ তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এখন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; প্রতিবন্ধী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার গঠিত কমিটি সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্প্রতি সুপারিশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার কথা আগে থেকে বলে আসছেন। প্রতিবন্ধী কোটা রাখার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এরপর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটাও বহাল রাখার দাবি এল।
সমাবেশে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হলাচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, “বাংলাদেশে আদিবাসীরা এখনও অনগ্রসর ৷ সংবিধানে তাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷ কিন্তু এখন সেই কোটা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে ৷
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে ৷ কিন্তু তা এখনও করা হয়নি ৷ আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রেখে বলছি, তিনি যে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছেন, সেটা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়।”
আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুমিতা রবিদাস বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন যে এখন নাকি বাংলাদেশে অনগ্রসর কোনো জনগোষ্ঠী নেই ৷ তিনি আদিবাসীদের কথা বিবেচনা না করে ঢালাওভাবে এই কথা বলেছেন ৷ আমরা তার এই কথার তীব্র নিন্দা জানাই।”
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন৷ একই সাথে তিনি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন৷ কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না ৷ আমরা অনগ্রসর সব জনগোষ্ঠীর অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানাই।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ