লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে তিনবার মাছ খেলে জন্ম হতে যাওয়া শিশুর দৃষ্টিশক্তির পাশাপাশি মগজাস্ত্রও ধারাল হয়।
ফিনল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অফ টুর্কু’র গবেষকদের করা এক গবেষণায় এমন ফলাফলই পাওয়া গেছে।
গর্ভের সন্তানের দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের নিয়মিত মাছ খাওয়ার উচিত বলে জানিয়েছে এই গবেষণা।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসের প্রতি সপ্তাহে তিন বা ততোধিকবার মাছ খেয়েছেন এমন মায়েদের সন্তানদের দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশের হার, একবারেই মাছ খাননি কিংবা সপ্তাহে দুবার মাছ খেয়েছেন এমন মায়েদের সন্তানের বিকাশের তুলনায় ভালো ছিল।
গবেষণার প্রধান লেখক, ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ টুর্কু’র কিরসি লাইটিনেন বলেন, “গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস গর্ভের সন্তানের জন্য অত্যন্ত উপকারী, এমনই ইঙ্গিত দেয় আমাদের গবেষণা। এর কারণ হতে পারে মাছে থাকা ‘লং-চেইন পলি-আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই। যার সবগুলোই গর্ভের সন্তানের সঠিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
‘পেডিয়াট্রিক রিসার্চ’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য আরেকটি বড় গবেষণায় অংশ নেওয়া মা ও শিশুদের একটি ছোট দলের তথ্য পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
এই গবেষণার অংশ হিসেবে একজন মা তার গর্ভকালীন খাদ্যাভ্যাস ডায়রিতে লিখে রাখতেন। গর্ভধারণের আগে ও পরে মায়েদের ওজনের তারতম্য, রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ ইত্যাদিও এই গবেষণার আওতায় আনা হয়।
মায়ের খাদ্যাভ্যাস ও ‘ব্লাড সেরাম’য়ে পুষ্টিকর ‘লং-চেইন পলি-আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’য়ের উৎস এবং সন্তানের এক মাস বয়সে তার রক্তে এই উপাদানের মাত্রা নির্ণয় করেন গবেষকরা।
দুই বছর বয়সে এই শিশুদের আবার পরীক্ষা করা হয় ‘প্যাটার্ন রিভার্সাল ভিজুয়াল এভোকেড পোটেনশিয়ালস (পিভিইপি)’ পদ্ধতিতে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শিশুর দৃষ্টিশক্তির বিকাশ পর্যবেক্ষণ করার সংবেদনশীল এবং নির্ভুল একটি পদ্ধতি এটি।
লাইটিনেন বলেন, “প্রাপ্ত বয়স্ক এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজন মায়ের গর্ভের সন্তানের সঠিক স্নায়বিক বিকাশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মায়ের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন কতটা উপকারী হতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয় আমাদের এই গবেষণা।”