অনলাইন ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্র প্রদেশে তাণ্ডব চালিয়ে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের উডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকার সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে গভীর নিম্নচাটি অবস্থান করছে। মধ্যরাতের আগেই তিতলি নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সমকালকে বলেন, ‘তিতলি’র প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার ও রোববার- এ দু’দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় নদী-বন্দরগুলোকে ২ নম্বর স্থানীয় সংকেত এবং দেশের সব নদনদীকে এক নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ৫৮ মিলিমিটার।