লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
সারাদিনের খাটনি শেষে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করা মোটেও সুখের বিষয় নয়। আবার অনিদ্রা দূর করতে ঘুমের ওষুধ সেবন করাও ঠিক না।
তাই ঘুম আনার জন্য কিছু স্বাভাবিক উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
বাম পাশের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া
নাকের বাম পাশের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া একটি যোগ ব্যয়ামের নিয়ম।
হলিস্টিক স্লিপ থেরাপিস্ট পিটার স্মিথ বলেন, “বাঁ পাশ হয়ে শুয়ে এক আঙুল দিয়ে ডান পাশের নাসারন্ধ্র বন্ধ করে রাখতে হবে। এরপর বাম পাশের নাসারন্ধ্র দিয়ে ধীরে এবং গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে।” এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় এবং মন শান্ত হয়।
অতিরিক্ত গরম এবং মেনোপোজকালীন ‘হট ফ্লাস’ সমস্যার কারণে অনিদ্রা হলে তখন এই প্রক্রিয়া বেশি কার্যকর।
শান্তভাবে শুয়ে থাকা
পেশীগুলো পুরোপুরি শান্ত করার ফলে শরীর ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।
দুশ্চিন্তা বিশেষজ্ঞ চার্লস লিনডেন বলেন, “বিছানায় টান টান হয়ে শুয়ে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। একই সময় পায়ের পাতা ভিতরের দিকে শক্তভাবে ভাঁজ করতে হবে, এবং এরপর আবার ছেড়ে দিতে হবে।” এতে করে পেশীগুলো শান্ত হবে এবং এতে অনিদ্রা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
জেগে থাকার চেষ্টা করা
শুনতে অদ্ভূত লাগলে এটি সত্যি যে, জেগে থাকার চেষ্টা করলেই বরং অনিদ্রা দূর করা সম্ভব। ঘুম না আসলে ঘুমানোর চেষ্টা না করে উল্টা নিজেকে জেগে থাকার জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ করা উচিত।
চোখ পুরোপুরি খুলে রেখে নিজেকে বলতে হবে, আমি কোনোভাবেই ঘুমাবো না। আর এতে করে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়বে। আর মস্তিষ্ক ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে।
সারাদিনের কাজ মনে করা
সারাদিনের কাজগুলো উল্টা দিকে চিন্তা করলে মন কিছুটা শান্ত হয়।
‘দ্য গুড স্লিপ গাউড’য়ের লেখিকা স্যামি মার্গো বলেন, “সারাদিনের ঘটনা, কথোপকথন ইত্যাদি চিন্তা করার ফলে মস্তিষ্ক ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।”
চোখের মণি ঘুরানো
চোখ বন্ধ করে চোখের মণি তিন বার ঘুরালে তা শরীরকে ‘স্টিমুলেইট’ করে। তাছাড়া মার্গো জানান, এতে ঘুমের হরমোন মেলাটনিন নিঃশৃত হওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
একটি তালিকা তৈরি করা
দুশ্চিন্তা ‘ইনসমনিয়া’ হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। হিপনোথেরাপিস্ট শ্যারন স্টাইলস বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কি করা উচিত বা কি করা উচিত নয় তা নিয়েই দুশ্চিন্তা কাজ করে। তাই একটি তালিকা তৈরি করে ফেললে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমানো সম্ভব।”