লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
আরামে ঘুমানোর চেয়ে আনন্দদায়ক ব্যাপার জীবনে আর কি হতে পারে! ঘুম শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বেশ কার্যকার।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘুম সম্পর্কিত কিছু বিস্ময়কর তথ্য জানানো হয়।
পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যে নিজের ইচ্ছায় দেরি করে ঘুমা পারে। অন্য কোনো প্রাণীর এই ক্ষমতা নেই।
ঘুমের সঙ্গে ওজন বাড়ার সরাসরি সংযোগ আছে। যারা কম ঘুমায় তারা বেশি খায়। ফলে তাদের শরীরে লেপটিন নামের প্রোটিনের মাত্রা কমে। এই প্রোটিন চর্বি থেকে উৎপন্ন হয় আর শরীরে চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ক্ষুধা বাড়ে, ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে জাগে।
বিদ্যুৎ আবিষ্কারের আগে মানুষ সময় ভাগ করে ঘুমাত, এমনকি রাতের বেলাতেও! তারা কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘুমাত। তারপর ঘুম থেকে উঠে কাজকর্ম করে আবার ঘুমিয়ে যেত।
০.০৫ মাত্রার অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা যতখানি বাধাগ্রস্ত হয়, ১৬ ঘণ্টার বেশি জেগে থাকলেও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা একই রকম বাধাগ্রস্ত হয়।
রঙিন টেলিভিশন মানুষের স্বপ্ন দেখাকেও রঙিন করেছে। এই যন্ত্র উদ্ভাবনের আগে শতকরা ১৫ ভাগ মানুষ রঙিন স্বপ্ন দেখত। বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের উপর।
মানুষ চাইলেই তার নিজের স্বপ্ন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘লুসিড ড্রিমিং’। আর এটা তখনই সম্ভব হয় যখন স্বপ্নের মাঝেও সজাগ থাকে মানুষ কিন্তু মস্তিষ্ক জেগে উঠতে দেয় না।
বেশিরভাগ মানুষেরই ঘুমের ভিতর ‘অরগ্যাজম’ হয়। আর তা বাস্তবের মতোই আনন্দ দেয়।
স্বপ্নে দেখা মানুষকে চিনতে না পারলেও বাস্তবে অবশ্যই তার অস্তিত্ব আছে। কারণ মস্তিষ্ক নিজে থেকে কোন নতুন মুখ বা বিষয় তৈরি করতে পারে না। এমন কি ভিরের মধ্যে কোনো মানুষকে এক নজর দেখলেও মস্তিষ্ক পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য তা জমা করে রাখে।
‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ একটি সাধারণ ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণত একজন মানুষ আধো ঘুম আধো জাগরিত অবস্থায় থাকে। ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ এ আক্রান্ত ব্যক্তি চাইলেও ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারে না। আর এটা তখনই হয় যখন মস্তিষ্ক একই সঙ্গে ঘুমাতে আর জেগে উঠতে চায়।
১৯৬৫ সালে র্যান্ডি গার্ডনার একটানা ১১ দিন জেগে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।