ক্রীড়া ডেস্কঃ
বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসান না থাকলে তার জায়গা পূরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে এশিয়া কাপেও ইনজুরি আক্রান্ত সাকিবকে সেই চিন্তায় দলে নেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি দলে না থাকলে একজন ব্যাটসম্যান এবং বোলার দিতে হয় বাংলাদেশ দলের। একাই দু’জনের কাজ করেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের মতে, সাকিব একের ভেতর দুই না। বরং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব একের ভিতর চার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওই সিরিজের দলে নেই সাকিব-তামিম। টেস্টেও পাওয়া যাবে না তাদের। তবে বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস দলের সেরা ওই দুই তারকা না থাকায় দলের অন্যদের জন্য ভালো এক সুযোগ বলে মনে করছেন। দলে যারা নতুন এসেছেন; সাকিব-তামিমের জায়গায় যারা খেলবেন তারা যদি ভালো করে তবে বাংলাদেশ দলের গভীরতা বাড়বে বলে মনে করেন কোচ।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের রোডস বলেন, ‘আমরা জানি দলে সেরা দুই ক্রিকেটার নেই। আমাদের চিন্তা হলো নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক এগিয়ে নেওয়া। প্রতিপক্ষ নিয়ে আমরা চিন্তিত না। তাদের না থাকাটা আমাদের ইতিবাচকভাবে নিতে হবে। অন্যদের জন্য এটা ভালো এক সুযোগ। তারা যদি সুযোগটা নিতে পারে তবে তা দলের গভীরতা বাড়াবে। দলে জায়গা নিয়ে প্রতিযোগিতা হলে খেলোয়াড়রা আরও ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করবে। আমরা দলে গভীরতা চাই। আর তাই সুস্থ প্রতিযোগিতা দরকার।’
উপমহাদেশের উইকেট হয় স্পিন সহায়ক। সাকিবের অনুপস্থিতি তাই দলের জন্য বড় ঘাটতি। এর আগে বুধবার সংবাদিকদের মেহেদি মিরাজ জানান, সাকিব না থাকায় বিশেষ সমস্যা হবে না দলের। কারণ তিনি আছেন, নাজমুল অপু এবং অন্যরা আছেন। রোডসও বললেন তেমনটা, ‘নাজমুল অপু দারুণ এক স্পিনার। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে সে কতটা কার্যকর তা আগে দেখিয়েছে। মানুষ যা ভাবে রিয়াদ তার থেকেও ভালো স্পিনার। রাব্বি দলে সুযোগ পেলে সেও হাত ঘুরাতে পারবে। তাই দলে বিশেষ প্রভাব পড়বে না।’
তবে সাকিবের অভাব কি অন্য কাউকে দিয়ে মেটানো সম্ভব। স্টিভ রোডস বাংলাদেশের কোচ হয়েছেন কয়েক মাস হলো। এরই মধ্যে তা বেশ টের পেয়েছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যাটে-বলে সাকিব দারুণ পারফর্ম করেন। এছাড়া বিশ্ব ক্রিকেট কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে রোডসের জানা বোঝা কম নয়। তিনি দলের জন্য সাকিব কি তা ভালোই জানেন, ‘সকিব অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান এক স্পিনার, ব্যাটসম্যান, ফিল্ডার এবং দক্ষ পরিকল্পনাকারী। তার জায়গা অপূরণীয়।’ তবে তার জায়গায় স্পিন আক্রমণে মেহেদি মিরাজকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও জানান কোচ।
এছাড়া বাংলাদেশ কোচ জানান, প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তিশালী জিম্বাবুয়েকেই চান তিনি। দলকে সতর্ক করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হারের জ্বালায় দগ্ধ হওয়া জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে সে বিষয়েও। সাইফউদ্দিন-আরিফুলকে দলে সুযোগ দেওয়া, মাশরাফির ইনজুরি নিয়ে চিন্তা এবং তার জায়গায় অন্য কোন খেলোয়াড় প্রস্তুত করার পরিকল্পনার কথাও জানান বাংলাদেশের কোচ।