অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বর্তমানকে তিনি উৎসর্গ করেছেন তরুণ প্রজন্মের জন্য, যাদের হাতে তৈরি হবে এ দেশের মানুষের ভবিষ্যত।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’ (এমএনপি) সেবার উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের বর্তমানকে আমি উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য। তারাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বে।… আমরা তো চলেই যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে যতটুকু কাজ আমরা এগোতে পারি, সেটা আমরা উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের জন্য।”
যারা এ দেশের ভবিষ্যতকে গড়ে তুলবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাদের চলার গতি যেন কোথাও থেমে না যায়, তা নিশ্চিত করার প্রত্যাশার কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “আমাদের ছেলে মেয়েদের এটাই বলব, মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে। আর প্রযুক্তি ব্যবহারে আরেও অভ্যস্ত হতে হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। যতদিন যায় প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি বের হয়।”
আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনা।
এমএনপি সেবার পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম গত ১ অক্টোবর শুরু হলেও গণভবনের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। একটা সিম থেকে যে কোনো অপারেটরে আরেকটা সিমে নাম্বার পরিবর্তন করা বা একটা অপারেটর থেকে আরেকটা অপারেটরে যাওয়ার যে আধুনিক প্রযুক্তি, পৃথিবীর খুব সীমিত দেশ এটা ব্যবহার করে। আমরা সেই যুগে প্রবেশ করছি।
“যদিও এটি একটা জটিল বিষয়, সেটাকে আজকে সহজভাবে করে দেওয়া হয়েছে। এই এমএনপি সেবা অনেকের জন্য সুবিধা হবে।”
নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে সেবায় সন্তুষ্ট না হওয়ার পরও অনেকে এতদিন অপারেটর বদলাতে পারেননি। এমএনপি চালু হওয়ায় তারা পুরনো নম্বর রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এ সেবা নিতে গ্রাহককে ৫০ টাকা চার্জের সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা খরচ দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ব্রড ব্র্যান্ড সার্ভিসটা একাবারে গ্রাম পর্যন্ত, জেলা উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। প্রতিটা গ্রামকে আমরা শহরে উন্নীত করছি।”
ই-ফাইলিং সুবিধা চালু হওয়ায় এখন যে কোনো জায়গায় বসে কাজ সারার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তাতে আর কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় কতখানি এগিয়েছে, সে কথাও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ বিডিনিউজ