ক্রীড়া ডেস্কঃ
রান সংখ্যায় ঠিক দ্বিগুণ। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৭২ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোববার করেছেন ১৪৪। তবু ইমরুল এগিয়ে রাখছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসটিকেই।
দুটি ইনিংসই এসেছে দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময়। দুটি ইনিংসই দলকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় থেকে, গড়ে দিয়েছে দলের জয়ের ভিত। তবে ম্যাচের আগের প্রেক্ষাপট, ম্যাচের পারিপাশ্বির্কতা, চাপ, সবকিছু মিলিয়ে আফগানিস্তান ম্যাচের ইনিংসটিই ইমরুলের হৃদয়ে সবচেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে আছে।
এশিয়া কাপের স্কোয়াডে না থাকলেও সেই ম্যাচের আগে হুট করে ডাক পেয়েছিলেন ইমরুল। দুবাই পৌঁছেছিলেন ম্যাচের আগে গভীর রাতে। সকালে আবার ভ্রমণ করে গিয়েছেন ম্যাচের ভেন্যু আবু ধাবিতে। জীবনে প্রথমবার ব্যাট করতে হয়েছিল ৬ নম্বরে।
রশিদ খানসহ আফগান স্পিনারদের সামলানোর কঠিন দায়িত্ব ছিল তার। সেই কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠেছিল দল ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানোয়। সেখান থেকেই দলকে টেনে নিয়েছিলেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন ১২৮ রানে জুটি। ইমরুল খেলেছিলেন শেষ পর্যন্ত, অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে। ইনিংসের শেষ বলে চার মেরেছিলেন ইমরুল, গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটিও। বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতেছিল তিন রানে।
ইমরুল তাই এগিয়ে রাখছেন সেই ইনিংসকে। তবে এ দিনের ১৪০ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসটাও যে বিশেষ কিছু, সেটি বলতে ভোলেননি।
“এটাকে আমার ক্যারিয়ারের একটি ভালো ইনিংস হিসেবে রাখব। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসটি অনেক স্পেশাল ছিল আমার কাছে। এশিয়া কাপের মতো ইভেন্টে হঠাৎ করে গিয়ে খেলা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। ওই ইনিংসকেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখব। অনেক ভালো খেলেছি।”
“আজকেও ভালো খেলেছি। জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। অনেক দরকার ছিল আজকের ইনিংস। নিজে ভালো খেললে দলের কাজ হয়ে যায়। আজকের ইনিংসটির জন্য হয়তো বাংলাদেশ দল নিরাপদ অবস্থানে গিয়েছে।”
ইমরুল জানালেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলতে তাকে অনেক সাহায্য করেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস।
“আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি কি করতে পারি, কি পারি না, অনেক কিছু জেনেছি ওই ইনিংস থেকে। আজকে ব্যাটিংয়ের সময় ওই ইনিংসটার কথা বারবার মনে করছিলাম। বিশ্বাস ছিল, ওরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে নিজেদের কন্ডিশনে আরও ভালো কিছু করতে পারব।”