নিজস্ব প্রতিবেদক, ফ্রান্স থেকে:
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘Internatinal Vesak Day’ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে।
১৯৯৯ সালে দিনটিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাই দিনটিকে UNDV (united nation day of Vesak) বলা হয়।
প্যারিসস্থ শ্রীলংকান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে মহামানব গৌতম বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার এই অনুষ্টানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আনুষ্টানিকভাবে অংশ গ্রহন করে এবং ফ্রান্সস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মি. শহিদুল ইসলাম ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিদিনিধি হন।
বিশ্বে বৌদ্ধ সমপ্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন হলো একটি আন্তর্জাতিক মানের ভেসাক ডে প্যারিসস্থ ইউনেস্কো ভবনে ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার।
স্থানীয় সময় দুপুর দুইটা ৩০ মিনিটে বাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে পূর্ণিমা উদযাপনের শুভ সূচনা হয়। এরপর পরই শুরু হয় (Way of Life based on the teaching of Buddha) শীর্ষক এক সেমিনার।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন Dr. G.A Somaratne Assistant Professor, The University of Hong Kong. শ্রীলঙ্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর Prof. Ittademaliye Indasara Thero, Buddhist and Pali University of Sri-Lanka, যুক্তরাজ্য ইয়র্ক সেন্ট জন বিশ্ববিদ্যালয়ের Dr.Alice Collett, Senior lecturer, York St John University, United Kingdom. এবং বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সস্থ Rev Jyotisar Bhikkhu, Founder Director, Kusalayan Buddhist Meditation Center France.
সেমিনারে বাংলাদেশের হাজার বছরেরর বৌদ্ধ কৃষ্টি, সভ্যতা ও নিদর্শনগুলি প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় শ্রীমৎ জ্যোতিসার ভিক্ষু বক্তব্য প্রদানের সময়।
এসয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোয় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদুত এম শহীদুল ইসলাম সহ ভারত, ভুটান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, চীন, কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, ফিলিপাইন, নেপাল, মালদ্বীপ, ইন্দোনিশিয়া ও রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি সহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের ভিক্ষু সংঘ ও বৌদ্ধ নেতৃ বৃন্দ।
এছাড়া সাংবাদিক দেবেশ বড়ুয়া,বুদ্ধপ্রিয় ভিক্ষু, সুনন্দন বড়ুয়া, ব্যাবসায়ী নেতা তাপস বড়ুয়া রিপন, উত্তম কে বড়ুয়াসহ আরো অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতিনিধিত্ব করেন।
সেমিনার শেষে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, চায়না, নেপাল, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান পরিবেশিত হয়।