ক্রীড়া ডেস্কঃ
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভেবে পাচ্ছিল না ওপেন করবে কারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে আবার সামনে এসেছে সেই প্রশ্ন। সেবার আস্থা রাখা যাচ্ছিল না কারোর ওপর। এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। দুটি পজিশনের জন্য দাবিদার চার জন। ওপেনিংয়ে এই তুমুল প্রতিযোগিতায় খুশি দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ইমরুল কায়েস-লিটন দাস। তিনে খেলেছিলেন সৌম্য সরকার, যিনি মূলত ওপেনার। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন চলতি বছর ওয়ানডেতে দারুণ ছন্দে থাকা তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশ কোচ রোডস জানান, চার জনের মধ্য দুই জনকে বেছে নেওয়া ভীষণ কঠিন হবে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য।
“এটা খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু কী অসাধারণ একটি পরিস্থিতিতে আমরা আছি। আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে গভীরতার জন্য মরিয়া ছিলাম। অবশেষে আমরা এর খানিকটা নমুনা দেখছি।”
“জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ইমরুল ৩৪৯ রান করেছিল। চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ছন্দে আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিটন ৮৩ রানের একটা ইনিংস খেলেছিল, এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে করেছিল সেঞ্চুরি। সৌম্য তিনে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিল, প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি করল। এটা দলের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর।”
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫১ রানে হারায় বিসিবি একাদশ। এই দলে ছিলেন ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডের সাত ক্রিকেটার। তাদের দেখতে জাতীয় দলের অনুশীলন রেখে বিকেএসপিতে উপস্থিত ছিলেন রোডস।
“কয়েক জন খেলোয়াড়ের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চোট কাটিয়ে ফেরার পর মাঠে কিছু সময় কাটানো তামিমের জন্য খুব জরুরি ছিল। যদিও খেলার বাইরে ছিল তবুও মনে হয়েছে ও নিজের সেরা ছন্দে আছে। এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। ও আমাদের ওয়ানডে দলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, সৌম্যও তাই।”
“বিকেএসপির এই পিচ ছিল খুব ভালো। আউটফিল্ড ছিল খুব দ্রুত গতির। এখানে বড় স্কোর হওয়াটাই স্বাভাবিক। ইমরুল-তামিম যেভাবে শুরু করেছিল তাতে আমি সন্তুষ্ট। ছেলেরা রান পেয়েছে তাই ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।”