আমাদের রামু রিপোর্ট:
ক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ও গর্জনীয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ মে) সকালে ও সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এরা হলেন রশিদ নগর কাহাতিয়া পাড়ার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে নজির আহম্মদ ও গর্জনীয়া স্কুল মুরা এলাকার মৃত মো. হোসেনের ছেলে মনজুরুল আলম (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় রশিদ কাহাতিয়া পাড়া এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের আব্দুল করিমের মিছিলে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সিরাজুল ইসলামের সমর্থকেরা হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষে নজির আহম্মদসহ দু’পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। ওইদিনই নজির আহম্মদকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। তবে নজির আহম্মদ সিরাজুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে নির্বাচনের আগের দিন শুক্রবার ( ২৭ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গর্জনীয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নৌকা সমর্থিত তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী ও একই দলের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের সৈয়দ নজরুল ইসলামের সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে মনজুরুল আলম আহত হয়। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবশেষে ২৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তবে নৌকা প্রতীকের তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী মৃত মনজুরুলকে তার সমর্থক বলে দাবি করেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু ডটকমকে জানান,রশিদ নগরে নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত নজির আহম্মদের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সকালে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফনও করা হয়েছে।
গর্জনীয়ায় মনজুরুল আলম নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে নির্বাচনী সহিংসতায় তার মৃত্যু হয়েছে কিনা এ বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।