অনলাইন ডেস্কঃ
আজকাল এয়ারফোন ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যয়াম করতে গিয়ে, দৌড়াতে গিয়ে, ভ্রমনে সব জায়গাতেই আজকাল বেশিরভাগ মানুষকে কানে এয়াফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। মোবাইলে কথা বলতে কিংবা গান শুনতে এয়ারফোনেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অনেকে দিনের একটা লম্বা সময় এয়ারফোন ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ারফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনলে পরবর্তীতে কানে শুনতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া যারা এয়ারফোন ছাড়া একদিনও কাটাতে পারেন না তারাও কিছু ঝুঁকির মধ্যে আছেন। দীর্ঘদিন এয়ারফোন ব্যবহার করলে কানে ব্যথা, কানে অস্বস্তি , এয়ারফোনে থাকা যেকোন ধরনের জীবাণু কানে প্রবেশ করে সংক্রমণ, কানে শুনতে সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এয়ারফোন ও হেডফোন ব্যবহারের কারণে বিশ্ব জুড়ে তরুণদের মধ্যে কানে সমস্যা বেড়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু দৈনন্দিন জীবনে অনেকসময় কাজের প্রয়োজনেও এয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করতে হয় এ কারণে শব্দের মাত্রা ৬০ এবং ৮৫ ডেসিবেলের মধ্যে রাখা উচিত। সাধারণত এয়ারফোনে শব্দের মাত্রা এবং তা কতক্ষন ব্যবহার করছেন তার উপরেই কানের ক্ষতি নির্ভর করে। যদি কেউ ১০০ ডেসিবেল বা এর চেয়ে বেশি মাত্রায় এয়ারফোন বা হেডফোন মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যও ব্যবহার করেন তাহলে তাদের কানে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এক নাগাড়ে এয়ারফোন বা হেডফোন ব্যবহার করলেও কানে শুনতে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ারফোন বা হেডফোনে শব্দের মাত্রা কখনোই ৬০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এছাড়া প্রতি ৩০ মিনিট পর পর এয়ারফোন কান থেকে সরানো উচিত। একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহার করা ঠিক নয়। এছাড়া কান নিরাপদ রাখতে অবশ্যই এয়ারফোন বা হেডফোনে শব্দের মাত্রা এতটা কমিয়ে রাখা উচিত যাতে পাশে বসা কোন ব্যক্তিও তা শুনতে না পায়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া