লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
উচ্চ রক্তচাপ খুব সাধারণ সমস্যা হলেও কখনও কখনও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। উচ্চ রক্তচাপে ভূগছেন এমন কারও যদি মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা এসব উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে প্রতিদিন রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। যদি রক্তচাপ দ্রুত এবং গুরুতরভাবে বেড়ে যায় তাহলে হৃদস্পন্দনের ক্ষতি, স্ট্রোক, চোখের ক্ষতি এবং কিডনির কার্যকারিতা হ্রাসের মতো নানা জটিলতারও সৃষ্টি হয়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তীব্র হলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় যাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী জীবনধারা সংশোধনের মধ্য দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে। যেমন-
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওজন কমাতে হবে। কারণ শরীরের বাড়তি ওজন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার ও নাচের মতো অ্যারোবিক ব্যায়ামগুলি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
৩. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর তাজা ফল এবং সবজি যোগ করুন। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন কারণ এটি রক্তচাপের উপর সোডিয়ামের প্রভাবকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। এসব খাবারের মধ্যে কলা, অ্যাভোকাডো, পালং শাক, মাশরুম, শশা, ব্রকলি, কমলালেবু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
৪. ধূমপান শেষ করার পরেও বেশ কিছু মিনিট ধূমপান আপনার রক্তচাপ বাড়ায়। এ কারণে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখতে ধূমপান ত্যাগ করুন।
৫. ক্যাফেইন রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে। এ কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাফেইন জাতীয় খাবার সীমিত করুন।
৬. মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ। স্ট্রেস বা মানসিক চাপের প্রতি আপনার মনোভাব পরিবর্তন করে কম চাপ নিন। এ জন্য যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশনও করতে পারেন। সূত্র : এনডিটিভি