অনলাইন ডেস্কঃ
৬৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ আর কোন ব্যাংকের কোন পদে থাকতে পারবেন না।
এতোদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়া অন্যান্য পদে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের কর্মকর্তারাও চুক্তিভিক্তিতে চাকরি করতে পারতেন। এখন আর পারবেন না।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো ‘ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বয়সসীমার অসমতা দূরীকরণ’ শীর্ষক এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর জারি করা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নিযুক্তি ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত সার্কুলার অনুযায়ী কোন ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলে তিনি কোন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
এছাড়া বাংলাদেশে প্রচলিত বিধান ও প্রথা অনুযায়ী রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী এবং বেসরকারী ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ স্ব-স্ব পর্ষদ কর্তৃক নির্ধারিত অবসর গ্রহণের বয়সসীমা অনুযায়ী অবসরে যান।
অন্যদিকে, প্রধান নির্বাহী ব্যতীত অন্যান্য নিয়মিত পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের ক্ষেত্রে এরূপ বয়সসীমা নির্ধারিত না থাকায় তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাথে সম্পাদিত চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত এমনকি বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও উক্ত পদে বহাল থাকতে পারেন।
‘ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং অধস্তন অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্যে বয়সসীমার এই অসমতা কাংখিত নয় উল্লেখ করে সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে নিযুক্ত পদে বহাল থাকার একটি বয়সসীমা নির্ধারণ করা কাম্য বিধায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোন ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হলে তিনি ব্যাংকের কোন পদে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত হতে বা অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
“তবে পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদে ব্যাংক কর্তৃক বিশেষ প্রয়োজনে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের কোন ব্যক্তিকে চুক্তিভিত্তিতে বহাল রাখতে অথবা নিয়োগ প্রদান করতে পারবে।”
বেসরকারী ব্যাংকের পর্ষদ তাদের ব্যাংকের নিয়মিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়সসীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বীয় ব্যাংকের অবসর গ্রহণের বয়স সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করবে বলে নতুন সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমডি হতে হলে তৃতীয় বিভাগ নয়
অপর এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কোন ব্যাংকের এমডি বা প্রধান নির্বাহী হওয়ার ক্ষেত্রে এখন আর শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।
‘ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নিযুক্তি ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ’ শীর্ষক সোমবার জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোন ব্যাংকের এমডি হতে হলে তাকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে।
অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা কিংবা ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
“শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।”
তবে গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশিত ফলাফলের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ ৩.০০ এর কম এবং অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিজিপিএ-র ক্ষেত্রে ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ২.৫০ এর কম ও ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.০০ এর কম হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
২০১৩ সালের ২৭ অক্টোবর জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়েছিল, কোন ব্যাংকের এমডি হতে হলে তাঁকে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে। অর্থনীতি, ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স কিংবা ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
শিক্ষাজীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি- এর বিষয়ে ঐ সার্কুলারে কোন কিছু উল্লেখ ছিল না।
সূত্রঃ বিডিনিউজ