নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামু উপজেলার ৬ ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ জুন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফতেখাঁরকুল ও চাকমারকুল ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা অনেকের। এ বিষয়ে কয়েকটি কেন্দ্রকে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাবী করে চাকমারকুল ও ফতেখাঁরকুলের কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফতেখাঁরকুল সদর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার ৯ শত ৪৪ জন। তার মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ ও উপজাতী সম্প্রদায়ের ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। এসব ভোটারগণ ভোটের দিন সংঘর্ষের আশংকায় ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে বলে অনেক প্রার্থী মনে করেন।
সূত্রে আরো জানা যায়, ২৮ মে সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে ভোট পরবর্তী সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় একই আতংক ফতেখাঁরকুল ও চাকমারকুল ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যেও কাজ করছে।
ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে’র মধ্যে ৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে প্রার্থীরা ৫টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবী করেছেন। এই ৫টি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তর ফতেখাঁকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, পশ্চিম মেরংলোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানা যায়।
এদিকে চাকমারকুল ইউনিয়নের একাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেন দু’একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা জারাইলতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহমদের পাড়া ৮নং ওয়ার্ড কেন্দ্র, পশ্চিম চাকমারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯নং ওয়ার্ড কেন্দ্রকে নিয়ে অভিযোগ করেছেন।