সুনীল বড়ুয়া:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাকি ৬ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। ৬ষ্ঠ ও শেষ ধাপে উপজেলার ফতেখাঁরকুল সদর,রাজারকুল,চাকমারকুল,দক্ষিণ মিঠাছড়ি,খুনিয়া পালং ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন,সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২১২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
ইতোমধ্যে এসব প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে নানান প্রতিশ্রুতি ও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্থ সময় পার করেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়। এদিকে সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বেগম সেলিনা কাজী আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কোন অবস্থাতেই ব্যালেট বক্স ছিনতাই, জালভোট প্রয়োগ, ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বেদারুল হোসেন আমাদের রামু ডটকমকে জানান, ছয়টি ইউনিয়নের ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণনের জন্য ৫৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২৬৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৫৩২ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফতেখাঁরকুল সদর ইউনিয়নে ১৯ হাজার, ৯৪৪ জন,জোয়ারিয়ানালায় ১৬ হাজার ৪৫৮ জন, রাজারকুলে ১১ হাজার ৭৩০ জন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ১৪ হাজার ১১৯জন, খুনিয়া পালংয়ে ১৯ হাজার ৯০৮ জন, চাকমারকুলে ৯ হাজার ৭২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন করার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। ওইদিন পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।