অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তার এই চলে যাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার দলের হাল ধরেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হন তিনি।
এরপর দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আশরাফ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বিদায় নেন আশরাফ। বর্তমানে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তিনি।
সততা ও সাধাসিধে জীবন-যাপনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে প্রশংসিত সৈয়দ আশরাফ হাসপাতালে থাকা অবস্থায় গত রোববারের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের একটি আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
তার মৃত্যুতে শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। রাজনীতি ও দেশের উন্নয়নে তার অবদানের জন্য দেশবাসী তাকে সব সময় স্মরণে রাখবে।”
সৈয়দ আশরাফের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
আলাদা শোক বার্তায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।