সোয়েব সাঈদ:
কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোট আর বিছ্ন্নি কয়েকটি ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে রামু উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিকাল ৪ টায় ভোট গণনা শেষে এখন চলছে গণনা। ফলাফল জানতে উৎসুক মানুষ ভোট কেন্দ্রের আশপাশে সমবেত হতে শুরু করেছে। ভোট গণনা শেষে রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষনা করবেন, নির্বাচন মনিটরিং সেলের সমন্বয়ক রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী।
সকল শংকা কাটিয়ে অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ভোটাররা। মর্যাদার এ লড়াইয়ে আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে কারা নির্বাচিত হবেন তা জানতে মুখিয়ে আছেন পুরো রামুর মানুষ। বিভিন্ন ভোটার ও কয়েকজন প্রতিদ্বদ্ধী প্রার্থী আমাদের রামু ডটকমকে জানিয়েছেন, নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের আন্তরিক ও সাহসী ভূমিকার কারণে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে।
ভোটগ্রহন চলাকালে ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি কেন্দ্রেই আইনশৃংখলাবাহিনীর কড়া নজরদারি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল সাড়ে আটটায় রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং ২ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র রামু কেন্দ্রিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা গেছে। এ দুটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিলো চোখে পড়ার মতো।
রামুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমন্বয়ক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী আমাদের রামু ডটকমকে জানিয়েছেন, বড় ধরনের অঘটন ছাড়াই আজ অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের ৬ ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
ভোটগ্রহন চলাকালে ভোটকেন্দ্র এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে ম্যাজিট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপি সদস্য সক্রিয় ছিলো।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেদারুল ইসলাম আমাদের রামু ডটকমকে জানান, ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা, রাজারকুল, দক্ষিণ মিঠাছড়ি, খুনিয়াপালং ও চাকমারকুল ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নে ২৯ জন চেয়ারম্যান, ৫৯ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও ২১৩ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এ ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ছিলেন ৯১ হাজার ৮৮৪ জন।