অনলাইন ডেস্কঃ
মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়া নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তিতে থাকলেও এখনও আশাবাদী বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকে। বিশেষ করে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের সিনিয়র নেতাদের বিশ্বাস, নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ পরিকল্পনা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাতত মন্ত্রিসভায় রাখেননি তাদের। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় তাদের অন্তর্ভুক্তির সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার আকার বাড়িয়ে কাউকে কাউকে সেখানে স্থান দেবেন। অন্যথায় সরকার ও সংসদের বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে মূল্যায়নের সম্ভাবনাও রয়েছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপযোগী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। মন্ত্রিসভার আকার চাহিদা অনুযায়ী বর্ধিত করা হতে পারে। নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে দলের মধ্যে কোনো অসন্তোষও নেই। তার, ‘সিনিয়র মন্ত্রীদের বাদ দেওয়ার বিষয় প্রধানমন্ত্রী জানেন। আমি বলব, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, এটা বলা ঠিক হবে না। তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। তারা দলে মনোনিবেশ করবেন।’
সরকারের নীতিনির্ধারক সূত্রগুলো বলছে, অন্য কোনো কারণে নয়, নবীনদের প্রাধান্য দিতে গিয়েই নতুন মন্ত্রিসভায় সিনিয়র ও অভিজ্ঞদের রাখেননি প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে গঠিত এই মন্ত্রিসভাকে সময়-সুযোগমতো সম্প্রসারণ এবং সিনিয়রদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগও রেখেছেন তিনি। সোমবার তার নেতৃত্বাধীন যে মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে, সেখানে নয়টি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর পদ খালি রয়েছে। যেগুলোতে প্রতিমন্ত্রীদের ওপরই ভরসা রেখেছেন শেখ হাসিনা। তাই এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আসার একটা সম্ভাবনাও রয়ে গেছে।
পূর্ণ মন্ত্রী না থাকা এই নয়টি মন্ত্রণালয় হচ্ছে- প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, পানিসম্পদ, সংস্কৃতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের কাছে যে চারটি মন্ত্রণালয় রেখেছেন, তার মধ্যে কমপক্ষে তিনটি তথা জনপ্রশাসন; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়েও কারও কারও মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রথা অনুযায়ী তার দায়িত্বেই থাকবে।
সূত্রমতে, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে পারেন শেখ হাসিনা। সেখানে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীসহ সিনিয়র কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার গুঞ্জন রয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্তির আলোচনায় আরও রয়েছে আগের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া ১৪ দলীয় জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নামও। তবে নবীনদের প্রাধান্য দিতে প্রধানমন্ত্রী জোট শরিকদের মধ্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করে আরেক দফা চমক দেখাতে পারেন- এমন কথাও ইতোমধ্যে চাউর হয়েছে।
শুধু মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তি নয়, অন্যভাবে বাদ পড়া মন্ত্রীদের মূল্যায়নের চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সে ক্ষেত্রে একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো পুনর্গঠনকালে বাদ পড়া মন্ত্রীদের অনেককে ওই সব কমিটির সভাপতি পদে আনা হতে পারে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের প্রথম দফায় ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও এমনটিই করা হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সিনিয়র অনেক নেতাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত না করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়। যদিও ওই সরকারে মেয়াদপূর্তির আগমুহূর্তে ও ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এখন পর্যন্ত খালি থাকা সংসদ উপনেতার পদেও সিনিয়রদের কাউকে নিয়ে আসার চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে দল ও সরকারের মধ্যে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয়ী দলীয় এমপিদের নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে সংসদ নেতা হিসেবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা হলেও সংসদ উপনেতা ঠিক করা হয়নি। আবার দশম জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় এ পদে পরিবর্তন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। সংসদ উপনেতা পদে নতুন মুখ হিসেবে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও মতিয়া চৌধুরীর মধ্যে যে কোনো একজনকে নিয়ে আসা হতে পারে- এমন গুঞ্জনও রয়েছে।
কয়েকজন নেতা বলেছেন, এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ১৪ দল শরিকদের নিয়েও হয়তো বা নতুন চিন্তা-ভাবনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে সংসদে নির্বাচিত ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও বাংলাদেশ জাসদ এবং মহাজোট শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের এমপিদের বিরোধীদলীয় আসনে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাদের দিয়ে সংসদে মোটামুটি ‘শক্তিশালী’ একটি বিরোধী দল গঠনের চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাতজন এমপি শেষ পর্যন্ত শপথ না নিলে এবং সংসদে না এলে তাদের বিকল্প হিসেবে জাপা ও ১৪ দলকে বিরোধী দলের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গতকাল সোমবার শপথ নিয়েছে। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ পড়িয়েছেন নতুন সরকারের এই মন্ত্রিসভাকে। এর আগে রোববার নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার সময়ই জানা যায়, মহাজোট সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সিনিয়র অনেক নেতাকে ছাড়াই মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। সব মিলিয়ে আগের মন্ত্রিসভায় থাকা ৩৪ জনই বাদ পড়েছেন। নতুন মুখ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ২৭ জন।
আগের মন্ত্রিসভায় থাকা সিনিয়র নেতা ও হেভিওয়েট মন্ত্রীদের মধ্যে এবার বাদ পড়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকেই। একইভাবে মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি ১৪ দলীয় জোট শরিক নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তবে একাদশ সংসদের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল জাতীয় পার্টি আগেই বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সঙ্গত কারণেই বাদ পড়েছেন নতুন মন্ত্রিসভা থেকে।
বাদপড়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেকেই বলছেন, নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী হিসেবে তাদের শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাদ পড়ার বিষয়টি কেউই জানতে পারেননি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে আলোচনাও করেননি। ফলে আচমকা বাদ পড়ার খবরে কিছুটা বিস্মিত হয়েছেন তারা। তবে এরপরও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণমাত্রায় আস্থা রয়েছে তাদের।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল সচিবালয়ে তার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেছেন, যোগ্য, সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিদের নিয়েই নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষিতদেরই জায়গা দিয়েছেন। নতুন যারা মন্ত্রিপরিষদে জায়গা পেয়েছেন, তারা সবাই যোগ্য। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তারা ভালোভাবেই সরকার পরিচালনা করে দেশকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবেন বলে মনে করেন তিনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময় সরকার ও মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরা যারা পুরনো তাদের নতুনদের তো জায়গা করে দিতে হবে। এক সময় তো যেতে হবে। তবে আমি এমপি আছি, থাকব। এমপি থেকেই কাজ করে যাব। আমরা সবাই একটি পরিবারের মতো কাজ করেছি।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নতুন মন্ত্রিসভা ১৪ দলের নয়, আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা বলে মন্তব্য করে সমকালকে বলেছেন, সিনিয়র নেতা ও শরিক দলগুলোকে কেন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি, তার কারণ বলতে পারছেন না তিনি। মন্ত্রিসভা গঠনের আগে-পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি তার। তবে তার কাছে মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভায় তরুণদের বেশি স্থান দিতে চেয়েছেন। এ কারণে জোট শরিক নেতাদের স্থান না দেওয়ার ক্ষেত্রেও হয়তো বা বয়সের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কেননা ১৪ দলের অন্য শরিকদের শীর্ষনেতাদের অধিকাংশের বয়সই সত্তরের ওপরে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, মন্ত্রিসভায় থাকা কিংবা না থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। মন্ত্রিসভায় স্থান না পেলেও তাতে অখুশি নন তিনি। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার এবং মহাজোট সরকারের গত দুই মেয়াদ মিলিয়ে প্রায় ১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে সফলতা দেখিয়েছেন তিনি। দেশের উন্নয়নেও সরকারের সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন। এজন্য তিনি শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। নতুন করে তার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিশ্চয়ই পরিকল্পনা রয়েছে তিনি কীভাবে তার মন্ত্রিসভা সাজাবেন এবং কীভাবে তাদের নিয়ে কাজ করবেন। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে কিছুদিন অপেক্ষা করাই ভালো। নিশ্চয়ই ভালো কিছু দেখতে পাব ভবিষ্যতে। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় শরিক দলের প্রতিনিধি না থাকলেও ১৪ দলীয় জোটের মধ্যকার রাজনৈতিক ঐক্য অটুটই রয়েছে। যে কারণে এই জোট গঠন এবং একসঙ্গে আন্দোলন ও সরকার গঠন- সেই কারণটা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী ও ১৪ দল নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে এবং তার নেতৃত্বেই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।